খানা-খন্দে ভরা রাস্তায় যখন তখন বিপদ। ধরুন অটোয় যাচ্ছেন। জোর ঝাঁকুনি লাগল। কোমর আর নাড়াতে পারছেন না। অবস্থা এমন, বিছানা নিতে হল। বাস-অটোর ঝাঁকুনিতে এমনটা হরদমই হয়। যার থেকে ছোটখাটো কোমরে টান ধরা থেকে প্যারালিসিস পর্যন্ত হতে পারে। আসলে ঝাঁকুনিতে মেরুদণ্ডের হাড়ের মাঝে থাকা নরম ডিস্ক বেরিয়ে পাশের স্পাইনাল কর্ডে চাপ ফেলে। স্পাইনাল কর্ডের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত পায়ে। তাই স্পাইনাল কর্ডের চাপ থেকে সেখানকার নার্ভে লেগে পা অবশ হতে পারে। অল্প চোট লাগলে মাসলে টান ধরে। ঝাঁকুনি আটকাতে হাত ব্যবহার করলে কাঁধে টান ধরতে পারে। সফট টিসু ছিঁড়ে যেতে পারে। ফ্রোজেন শোল্ডার হয়ে কাঁধ শক্ত হয়ে যেতে পারে। হাত নাড়াতে কষ্ট হয়। সামনে ধাক্কা খেয়ে বা পা মুড়ে সামনে পড়লে হাঁটুর মালইচাকি ভেঙে যেতে পারে। এক কথায় চোটের পরিমাণ অল্প থেকে বেশি হতে পারে। জানালেন ডা. মৌলিমাধব ঘটক।
কী করবেন?
চোট লেগে জায়গাটা ফুলে লাল হয়ে গেলে বরফ সেঁক দেবেন। ডাক্তারের পরামর্শ মতো অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ওষুধ খেতে হবে।
চোট গুরুতর হলে এক্স-রে বা এমআরআই দরকার। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় টানাহ্যাঁচড়া করবেন না। কোমরে লাগলে কোমরের নিচে হাত দিয়ে রোগীকে তুলতে হবে। পায়ে লাগলে কাঠের বোর্ড বা পাটাতনের ওপর পা রেখে গজ দিয়ে বেঁধে দেবেন। যাতে জায়গাটা না নড়ে।
পা ফুলে থাকলে রাতে পা বালিশের ওপর রেখে ঘুমোতে হবে।
রাস্তায় পড়ে কেটে গেলে ধুলো বালি থেকে ইনফেকশন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে।.