কিউই ফলটি দেখতে ছোট হলেও অনন্য পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। বাদামী রঙের ডিমের আকৃতির এই ফলটির ভেতরের রঙ সবুজ। কিউই চীনের স্থানীয় ফল এবং এটি ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় সুইজারল্যান্ড থেকে। সুস্বাদু এই সুপার ফুডের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নেব আজ।
গবেষণায় জানা গেছে যে, কিউই ফলের প্রতি আউন্সেই পুষ্টিতে ভরপুর থাকে। কমলার চেয়ে দ্বিগুণ ভিটামিন সি থাকে কিউইতে। আপেলের চেয়ে ৮ গুণ বেশি পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ কিউই ফল।
গবেষকগণ গবেষণায় অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের দিনে একটি আপেলের পরিবর্তে ২/৩টি কিউই ফল খেতে দেন। এতে তাদের রক্ত জমাট বাঁধার পরিমাণ কমে এবং সার্বিকভাবে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমে। পরিশেষে এটাই প্রমাণিত হয় যে কিউই হৃদরোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে। হার্টের জন্য দৈনিক এস্পিরিন সেবনের মতোই উপকারী কিউই খাওয়া।
কিউইতে আপেলের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
কিউইতে অন্যান্য যে উপকারী উপাদানগুলো থাকে সেগুলো হলঃ
-
ফাইবার (হজমে সাহায্য করে)
-
লুটেইন (চোখের জন্য উপকারী)
-
কপার (ইমিউন সিস্টেম ও মস্তিষ্কের জন্য ভালো)
-
পটাসিয়াম (ব্লাডপ্রেশারের জন্য ভালো)
-
এবং ভিটামিন এ থাকে
একটি কিউই ফলে ৫০ ক্যালরি, ১/২ গ্রাম ফ্যাট, ২ গ্রাম ফাইবার, ৮ গ্রাম চিনি এবং ১ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এতে কোন কোলেস্টেরল থাকেনা। কিউই তে এনজাইম থাকে যা মাংস নরম করতে সাহায্য করে। রান্নার আগে মাংসের উপরে কয়েক টুকরা কিউই ফল কেটে দিয়ে রাখুন। কিউই ফল পীচ ফলের মতোই পুরোটাই খাওয়া যায় আবার টুকরো করেও খাওয়া যায়।
কিউই ফল ত্বকের জন্যও অনেক উপকারী যেমন- বলিরেখা, দাগ, কাটা ও ফুসকুড়ি ভালো করতে সাহায্য করে।
সতর্কতাঃ
কিউই ফলে ভালো পরিমাণে অক্সালেট থাকে। এই অক্সালেট যখন দেহের তরলের সাথে মিশে তখন তা স্ফটিকাকার ধারণ করে এবং স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই যাদের কিডনি ও পিত্তপাথরের সমস্যা আছে তাদের কিউই না খাওয়াই ভালো। এছাড়াও কিউইতে এনজাইম থাকে যা লেটেক্স ফ্রুট অ্যালার্জি সিনড্রোম সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনার লেটেক্স অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে কিউই খেলে আপনার সমস্যা হতে পারে।.