মূত্রথলির টিউমার একটি জটিল রোগ হলেও দেশেই এর ভালো চিকিৎসা রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন মল্লিক। বর্তমানে তিনি গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন: আপনি বললেন টিউমারের ক্ষেত্রে ম্যালিগনেন্ট বা ক্যানসারের টিউমারটি বেশি হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগ কী কী আছে।
উত্তর : চিকিৎসার ভালো সুযোগই আছে। আমরা কেটে মূত্রথলির টিউমারকে ফেলে দিই। তবে এখন এটা তেমন হয় না। একটি যন্ত্রের মাধ্যমে যাকে বলে রিসেটোস্কোপ।
প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে যন্ত্র দিয়ে টিভির মধ্যে ভেতরের ছবি দেখে একে রিসেকশন করে দিই। রিসেকশন করে দিয়ে সম্পূর্ণ চেঁছে উঠিয়ে বের করে ফেলি। এরপর বের করে নিয়ে আসি। এরপর পরীক্ষা করতে দিই যে কোন পর্যায়ে এটি রয়েছে। পর্যায় অনুসারে চিকিৎসার ভিন্নতা হয়। তারপরও চিকিৎসার একটি বিষয় থেকে যায়। ফেলে দেওয়ার পরও ১০০ ভাগ এটি আবারও হবে। এই দেখা দেওয়াটা তিন মাস না হয়ে যদি এক বছর হয়, এই এক বছর সে রোগ ফ্রি থাকবে। এই জন্য আমরা মূত্রথলির ভেতরে ওষুধ দিই। যেমন আছে পিটোমাইসিন সি একটি রাসায়নিক। আরেকটি দেওয়া হয় বিসিজি। টিউবার কুলোসিসের জন্য যে বিসিজি দেওয়া হয়, এটি আমরা মূত্রথলির ভেতরে ঢুকিয়ে দিই। দেওয়ার পদ্ধতি আছে। সাধারণ স্যালাইনের মধ্যে বিসিজিটা দিয়ে মূত্রথলির মধ্যে ঢুকিয়ে দিই। এক ঘণ্টা রেখে দিই। এরপর সে প্রস্রাব করে ফেলে দেবে। এভাবে প্রতি সপ্তাহে একবার দিতে হবে। এতে দেখা গেছে পুনরায় হওয়ার বিষয়টা একটু ধীরগতির হয়। কিন্তু আমরা বন্ধ করতে পারি না। আবার হবেই।
আর যদি দেখা যায় পরীক্ষার পর, হিস্টোপ্যাথলজির পর টিউমারটি দেয়ালের ভেতরে ঢুকে গেছে, পেশির দেয়ালের ভেতরে ঢুকে গেছে। অবশ্যই তাকে অন্যভাবে চিকিৎসা দিতে হবে। হয় সম্পূর্ণ মূত্রথলি ফেলে দিতে হবে। ইনটেসটাইন থেকে মূত্রথলি বানাতে হবে। অথবা ইউরেথ্রা ত্বক থেকে বের করে দিতে হবে। সম্পূর্ণ টিউমার ফেলে দিলেও রক্তে থেকে যায়। এরপর তাকে ক্যামোথেরাপি দিতে হবে।
আরেকটি হলো রেডিয়েশন দিয়েও আমরা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। বিভিন্ন পদ্ধতিতে আগাতে হয় এটা চিকিৎসার জন্য।.