ছোট থেকে বড় বেশির ভাগই বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয় কৃমির দ্বারা। মূলত পরজীবী কৃমি বাস করে অন্ত্রে। কৃমি শুধু মানুষ নয়, অন্যান্য প্রাণীর শরীরেও দেখা দিয়ে থাকে। মূলত ত্বক এবং খাবারের মাধ্যমে দেহে কৃমি ঢোকে। কৃমি দূর করার জন্য বিভিন্ন ওষুধ বাজারে থাকেলও কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার মাধ্যমে কৃমি দূর করা সম্ভব।তেমনই ছ’টি ঘরোয়া উপায় থাকলঃ
১. রসুনঃ
রসুন অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক খাবার যা কৃমি দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা রসুনের অ্যামাইনো অ্যাসিড পেটের কৃমি মেরে ফেলে। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে দু’কোয়া রসুন খান। এক সপ্তাহ নিয়মিত খান। আধ কাপ জলে দুটি রসুনের কোয়া দিয়ে সিদ্ধ করে এক সপ্তাহ নিয়মিত খেলেও উপকার পাবেন।
২. নারকেলঃ
পেটের কৃমি দূর করতে নারকেল বেশ কার্যকরী। প্রতি দিন সকালের এক টেবিল চামচ নারকেল কুচি খান। ৩ ঘণ্টা পর এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে খান।
৩. লবঙ্গঃ
প্রতি দিন ১ থেকে ২টি লবঙ্গ খান। এর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান পেটের কৃমি ধ্বংস করে।
৪. মিষ্টি কুমড়োর বীজঃ
দুই টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীজের গুঁড়ো তিন কাপ জলে আধ ঘণ্টা সিদ্ধ করুন। সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খান। এ ছাড়া এক টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীজের গুঁড়োর সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।
৫. গাজর;
একটি গাজর কুচি করে প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। গাজরের বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি এবং জিঙ্ক আছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পেটের কৃমি মেরে ফেলে।
৬. হলুদঃ
এক চা চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। এটি প্রতি দিন সকালে খালি পেটে খান। এ ছাড়া হাফ কাপ গরম জলে, সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং নুন মিশিয়ে খান। পাঁচ দিন নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
৭. অ্যাপল সিডার ভিনিগারঃ
খাওয়ার আগে অ্যাপল সিডার ভিনিগার পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। যা শরীরে প্যারাসাইট ও জীবাণুর লার্ভা মারতে সাহায্য করে।
৮. আনারসঃ
আনারসের মধ্যে রয়েছে ব্রোমেলিন এনজাইম। যা প্যারাসাইট মারতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে টানা তিন-চার দিন শুধু আনারস খেয়ে থাকলে কৃমি সম্পূর্ণ সারানো যায়।
৯. পেঁপেঃ
দুই আউন্স ভিনিগারের মধ্যে আট আউন্স পেঁপে মিশিয়ে রাখুন। এটা টানা চার দিন খেলে কমে যাবে কৃমি।
১০. টাটকা মাছ, মাংসঃ
এই সব উৎকৃষ্ট প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফ্যাটি অ্যাসিড কৃমির প্রকোপ রুখতে পারে।