রোজকার জিনিষে লুকিয়ে আছে এমনই সব বিষাক্ত রাসায়নিক।
১. প্যাথালেটসঃ
যে কোনও সুগন্ধের মধ্যে এই মারাত্মক রাসায়নিকটি ব্যবহার করা হয়। প্যাথালেটস-এর প্রভাবে ছোটদের মস্তিষ্ক বিকৃতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। টেস্টোস্টেরন হরমোন এবং শুক্রাণু উৎপাদন কমিয়ে দেয়। নিটফল পুরুষত্বহীনতা। বাচ্চা মেয়েদের ক্ষেত্রে অকাল যৌবনের আশঙ্কা থাকে।
২. ফরমালডিহাইডে রিলিজারঃ
এই রাসায়নিক প্রধানত ফেনা তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে শ্যাম্পুর সঙ্গে এই রাসায়নিক মিশিয়ে দেওয়া হয়। ফলে জলের সঙ্গে শ্যাম্পুর সংযোগ হলে যেমন ফেনা তৈরি হয়, তেমনি শ্যাম্পুতে যাতে কোনও ধরনের ব্যাকটেরিয়া বাসা না বাধে তাও দেখাটা ফরমালডিহাইডের অন্যতম কাজ। এই বিষাক্ত রাসায়নিক থেকে ক্যানসার জাতীয় রোগের আশঙ্কা থাকে।
৩. প্যারাবেনসঃ
সাধারণত কোনও জিনিসকে দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষিত রাখতে এই রাসায়নিকটি ব্যবহার করা হয়। এর জেরে মাতৃত্বহীনতার আশঙ্কা থাকে। তাই জিনিস কেনার আগে প্যারাবেনসের উপস্থিতি দেখে নিন।
৪. ট্রাইক্লোস্যান এবং ট্রাইক্লোকারবেনঃ
ব্যাক্টেরিয়া মারতে দক্ষ এই রাসায়নিকটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয় টুথপেস্ট থেকে হ্যান্ডওয়াশ, লিকুইড বডি সোপ, চপিং বোর্ড সহ একাধিক জিনিসে। এই রাসায়নিকগুলি পুরুষ ও মহিলাদের হরমোনে প্রভাব বিস্তার করে। এর জেরে সেক্স হরমোনগুলি বিশেষত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকী, থাইরডের মাত্রা বাড়াতেও এই রাসায়নিকের ভূমিকা মারাত্মকরকমের।
৫. রেটিনিল পালমিটেট এবং রেটিনোইক অ্যাসিডঃ
এই দুই রাসায়নিক মূলত ব্যবহৃত ক্রিম জাতীয়। জিনিসে। বিশেষ করে অ্যান্টি এজিং ক্রিম এবং সানস্ক্রিনসে এদের প্রচণ্ডভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই রাসায়নিকগুলির মধ্যে প্রবল পরিমাণে ক্যানসারের প্রবণতা লুকিয়ে আছে। সূর্যের আলোতে এই রাসায়নিকগুলির বিকিরণ শুরু হয়। ফলে কোনও সানস্ক্রিনসের মধ্য এই দুই রাসায়নিক থাকলে ত্বকের ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকে।
৬. ফরমালডিহাইডে থাকা হেয়ার স্ট্রেটনারঃ
বহু হেয়ার স্ট্রেটনারের মধ্যে এই রাসায়নিকটি থাকে। এর ফলে চুলে ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকে। তাোই বহু দেশেই ফরমালডিহাইডে থাকা স্ট্রেটনারের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।.