চুল পড়া নিয়ে নাজেহাল অনেকেই। চুল কিন্তু এমনি এমনি পড়ে না। চিকিৎসকরা বলছেন, অজস্র কারণ এর পেছনে। যেমন ডেলিভারির কিছু দিন পর কারও কারও প্রচুর চুল ওঠে। আবার জ্বর বা পেটের অসুখ হওয়ার কিছু দিন পরও চুল পড়তে পারে। চুল পড়ছে এই চিন্তা মাথায় ঢুকলে সমস্যা আরও বেড়ে যায় চিন্তায়। আসলে যে কোনও স্ট্রেসের থেকে চুল উঠতে পারে। আজকের লাইফস্টাইল, জাঙ্ক ফুড সবই রয়েছে চুল ওঠার পেছনে। এই জন্যই ছেলেদের এখন কুড়ি-পঁচিশেই মাথা ফাঁকা হতে শুরু করে। আগে যেটা হত চল্লিশে! পিরিয়ডের সমস্যা থাকলে কিন্তু মেয়েদের চুল উঠতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগে দরকার পিরিয়ডের সমস্যা মেটানো। রক্তে হিমোগ্লোবিন আর ফেরিটিনের মাত্রা কমে গেলে বা থাইরয়েডের গোলমাল থেকে চুল উঠতে পারে। আবার ছোট-বড় অনেকেরই মাথায় ছোট গোল করে টাক পড়ে যায় (টাকপোকা, তবে পোকা নয়)। পরে সেটা বড় হতে থাকে। পড়ার চাপ থেকে ছোটদের এমনটা হতে পারে। খুশকি থেকে চুলের গোড়া নষ্ট হয়ে চুল উঠতে পারে। আবার অনেকের স্ট্রেটনিং থেকে চুলের ক্ষতি হয়ে চুল পড়তে শুরু করে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, চুল এমনি এমনি ওঠে না। সমস্যা মেটাতে আগে কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
চুল পড়া বন্ধে করণীয়ঃ
-
বাচ্চা হওয়ার পর চুল পড়তে থাকলে প্রোটিন ( ডাল, সয়াবিন, ছানা) ফল, সব্জি বেশি করে খেতে হবে।
-
স্ট্রেসকে কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া চলবে না।
-
ওজন যেন না বাড়ে।
-
এক্সারসাইজ করবেন।
-
খুস্কি থাকলে তেল ব্যাবহার করবেন না।
-
প্রয়োজনে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।
-
রোজ শ্যাম্পু না করাই ভাল, করলে মৃদু শ্যাম্পু (বেবি শ্যাম্পু) করুন।
-
নতুন কোনও ওষুধ খাওয়ার পর চুল উঠলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে জানান।
-
খুব বেশি চুল পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ লাগাতে হবে।