ভিটামিন সি দেহের জন্য ভীষণ জরুরী। এই ভিটামিন নিয়মিত আমাদের দরকার হয়। কারণ ভিটামিন সি দেহে জমে থাকে না। আর এই ভিটামিন আমাদের শরীরের জন্য সব সময় দরকার। ঠাণ্ডা গরম জনিত কারণে যে জর জর ভাব হয়, তা দূর করতে কমলা লেবু খুব ভালো বন্ধু। ঠোঁটের কোণে ঘা, ঠোঁট ফেটে যাওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি কাশি, সারা শরীরে ব্যথা, এই কষ্টগুলো দূর করবে এই ফল।
অধিক মাত্রায় ভিটামিন এ রয়েছে এই ফলে। ভিটামিন এ চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। চোখ ওঠা, অকালে চোখে ছানি পড়া, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এই ভিটামিন। গবেষণা করে দেখা গেছে, পেটে সন্তান থাকার মুহূর্তে যেই মায়েরা নিয়মিত ভিটামিন যুক্ত খাবার খায়, তাদের সন্তানদের অসুখ হবার পরিমাণ থাকে তুলনামূলক ভাবে কম। কমলা লেবুর ভিটামিন সি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ গুলো কে দূরে রাখে। লাবণ্য ধরে রাখতে এর অবদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানো, শরীরের চামড়ার পুষ্টি বৃদ্ধি, নখ ও হাড় মজবুত রাখে এই ফল।
রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়, এমন রোগীরা কমলা লেবু খেতে পারবেন। তবে খুব বেশি মিষ্টি কমলা লেবু খাওয়া অনুচিত। যাদের Diabetes নিয়ন্ত্রণে নায়। কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কমলা লেবু সহ যে কোন ফল খুব বেশি খাবেন না। কারণ কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে, ফল চিকিৎসক এর পরামর্শ ছাড়া না খাওয়াই ভালো। উচ্চ রক্তচাপ এর রোগীরা এই ফল নিয়মিত খান।
বিশেষ করে টক কমলা লেবু খাবেন। টক কমলা লেবু রক্তে fat এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তখন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু এই ফল খেলেই হবে না। তৈলাক্ত খাবারের সাথে মিষ্টি বাদ দিতে হবে, ওজন ঠিক থাকতে হবে। দাঁত, চুল, নখের পুষ্টি যোগায় এই ফল। নিয়মিত কমলা লেবু খেলে দাঁত এর অসুখ হয় কম। কমলা তে কোনো fat নেয়। তাই ওজন বেড়ে যাবার ভয় নায়। Tonsil এর সমস্যা, ঠোঁটের কোণে ঘা, পায়ের তলায় ফেটে যাওয়া, এই সমস্যা গুলো দূর করবে কমলা লেবু।
শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই ফল। কমলা লেবু খেলে অনেকের বুক জ্বালা পোড়া করে। এই ধরনের সমস্যা থাকলে নিয়মিত এই ফল খাবেন না। মাঝে মাঝে খান। পুষ্টির মূল্য বিচারে কমলা লেবু হোক আপনার নিত্য সঙ্গী। নিয়মিত খাবার সুযোগ না হলে, সপ্তাহে অন্তত দুই টি কমলা খান। আপনি হয়ে উঠুন রোগ মুক্ত আর সুন্দর।