অতিরিক্ত কর্মব্যস্ত জীবনে ক্লান্তি বা অবসাদ আসা খুবই স্বাভাবিক। এ অবসাদ হতে পারে শারীরিক বা মানসিক। তাই কাজের পাশাপাশি প্রয়োজন রয়েছে বিশ্রামেরও। বিশ্রামহীনতা জীবনে চাপের সৃষ্টি করে। ফলে অবসাদ বা ক্লান্তি শরীর ও মনকে সমান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অবসাদ কমানোর জন্য এবং জীবনের গতিকে স্বাভাবিক রাখার জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম, নিজের জন্য গ্রহণ করতে হবে কিছু পদক্ষেপ। যেমন -
-
অবসাদ দূর করতে ঘুমের প্রয়োজন আছে, তবে অতিরিক্ত ঘুম দেহে একরকম ক্লান্তির ভাব আনে। একজন সুস্থ মানুষের জন্য দিনে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট।
-
ঘুম থেকে উঠে ১৫ মিনিট নিজের আলসেমীকে প্রশ্রয় দিন। নিজের জন্য ব্যয় করা এই বাড়তি সময়টুকু আপনাকে তরতাজা করবে।
-
কর্মজীবী মানুষের জন্য দিনের প্রথম খাদ্যগ্রহণের ব্যাপারটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সকালের নাশতা কার্বোহাইড্রেট, আমিষ ও স্নেহজাতীয় পদার্থ রয়েছে এমন ধরনের খাবার দিয়ে সারুন।
-
হঠাত্ করে উপস্থিত হওয়া কাজ অবসাদ বাড়ায়। তাই সারাদিন কী কী কাজ করতে হবে তা বাড়ি থেকে বের হবার আগে জেনে নিন।
-
একদিনে অনেক কাজ থাকতে পারে। এলোপাথাড়ি কাজ করলে দ্রুত অবসাদ ঘিরে ধরে। তাই কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী তালিকা তৈরি করুন এবং তালিকা অনুযায়ী কাজ শেষ করুন।
-
ধূমপানের ফলে ধোঁয়া মস্তিষ্কের টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহে বাধার সৃষ্টি করে। ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে থাকলে ছেড়ে দিন। শুরুতে নিকোটিনের অভাবে শরীরে অস্বস্তি জাগলেও ধীরে ধীরে তা ঠিক হয়ে যাবে।
-
অনবরত কাজের চাপ না নিয়ে 'না' বলতে শিখুন। অনুরোধে ঢেকি গেলার কাজ যেমন ভালো ফল আনে না, তেমনি তা অবসাদও বাড়িয়ে তোলে।
-
কাজের ফাঁকে ফাঁকে গভীরভাবে শ্বাস টেনে তারপর ঠোঁটাকে গোল করে দম ছাড়লে ক্লান্তভাব কমে যায়।
-
অনেক ডাক্তার অবসাদ দূর করার জন্য ওষুধ খেতে দেন। আপাতদৃষ্টিতে ভালো ফল দিলেও এর নেতিবাচক প্রভাবও পড়ে! শুধুমাত্র অবসাদ দূর করতে কোনো ওষুধ সেবনের প্রয়োজন নেই। শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করতে নিজের ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট।
মাঝে মাঝে ছকেবাঁধা জীবনে সামান্য পরিবর্তন নিয়ে আসুন। সেটা হতে পারে খাবার বা কোনো জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে। অবসর কাটান ভালো লাগার কাজগুলো করে। আপনার জীবনবোধই আপনাকে করবে সতেজ ও অবসাদমুক্ত।