ব্যক্তিগত, পাবিরারিক কিংবা অফিসের যে কোন কারণে হঠাৎ করেই আপনার কাছের কেউ হার্ট অ্যাটাক করতে পারেন। এ সময় করণীয় সম্পর্কে অনেকেরই মাথা কাজ করে না। অনেকেই আবার চিৎকার-চেঁচামেচিও শুরু করে দেন। কিন্তু এসব করে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো যায় না। বরং এ সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। ঠাণ্ডা মাথায় রোগীকে যতটা ফার্স্ট এইড দিতে পারবেন ঝুঁকি তত কমবে। এই সময় ঘাবড়ে গিয়ে দেরি করে ফেললে কিন্তু বিপদ আরও বাড়বে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে তার মৃত্যু অবধারিত। কাজেই হার্ট অ্যাটাক করলে প্রাথমিক চিকিৎসায় এমন কিছু কাজ করুন যাতে ডাক্তারের কাছে না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তিনি বেঁচে থাকেন।
জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচিয়ে রাখতে যা করবেন-
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণঃ
-
বুকে ক্রমাগত ব্যথা, ছড়িয়ে পড়তে পারে চোয়াল, কাঁধ, দাঁত, গলা, হাতে।
-
হঠাৎ পালস রেট খুব বেড়ে যাওয়া বা একেবারে কমে যাওয়া।
-
অতিরিক্ত ঘাম
-
বুকের মাঝখানে অস্বস্তিকর চাপ অনুভব করা, ভারি ভারি ভাব।
-
শ্বাস ছোট হয়ে আসা।
-
মাথা ঘোরা, জ্ঞান হারানো।
-
বমি বমি ভাব।
এসব লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স কল করুন বা ডাক্তারকে ফোন করুন। বাড়িতে নিজের গাড়ি থাকলে নিজেরাও নিয়ে যেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন রোগীর সঙ্গে সারাক্ষণ কেউ থাকে।
অ্যাম্বুলেন্স বা ডাক্তার আসার আগে কীভাবে ফার্স্ট এইড দেবেনঃ
-
প্রথমেই রোগীকে রিল্যাক্সড অবস্থায় নিয়ে আসুন। দেওয়ালে হেলান দিয়ে মাটিতে বসান। ঘাড়, মাথা কাঁধ হেলান দিয়ে হাঁটু মুড়ে রোগীকে বসালে রক্তচাপ কমবে।
-
রোগীর যদি অ্যাসপিরিনে অ্যালার্জি না থাকে তবে অ্যাসপিরিন দিন। এই সময় ৩০০ গ্রাম অ্যাসপিরিন চিবিয়ে খেতে পারলে ধাক্কা অনেকটাই সামলানো যাবে।
-
এই সময় রোগী শক পেতে পারেন। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বুঝতে পারলে শক পাওয়া খুব স্বাভাবিক। তাই ক্রমাগত শ্বাস, পালস রেট ও রোগী কেমন সাড়া দিচ্ছেন তা চেক করতে থাকুন।
-
রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে যায় তবে সিপিআর-এর সাহায্য নিন।