প্রকৃতির নিয়মেই শীত আসে আর তার সাথে নিয়ে আসে বাহারি সবজি। শীতের বাহারি সবজির লোভে অনেকেই শীত ভালোবাসেন। শীত কালের অন্যতম সবজি টমেটো। টমেটো খেতে কে না ভালবাসে। সারা বছর টমেটো সুস্বাদু সালাদ, বা স্যান্ডউইচে টমেটো বেশ উপাদেয়। তবে শুধু খেতে ভাল তা নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী টমেটো। এমনকি, রূপচর্চার জন্য টমেটোর তুলনা নেই। জেনে নেই টমেটোর কিছু গুণ।
১। চোখ- টমেটোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ। তাই টমেটো চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে টমেটো। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে টমেটো। ছানি পড়ার রুখতেও টমেটো কার্যকর।
২। ডায়াবেটিস-টমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম রয়েছে। এই ক্রোমিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা আয়ত্তে রাখে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩। হার্ট- টমেটোর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে প্রতি দিনের ডায়েটে টমেটো থাকলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
৪। কিডনি- ডায়েটে টমেটোর বীজ থাকলে কিডনি স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমে।
৫। ত্বক- টমেটোর মধ্যে থাকে লাইকোপেন। তাই টমেটো খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। টমেটো টুকরো টুকরো করে কেটে মুখের উপর ১০ মিনিট রাখন। জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ঝকঝকে লাগবে। টোম্যাটোর ফেস প্যাকও ত্বকের জন্য ভাল।
৬। চুল- টমেটোর ভিটামিন এ চোখের পাশাপাশি চুল, নখ ও দাঁতও ভাল রাখে।
৭। হাড়- হাড় সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে। এই দুটোই টমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ফলে টমেটো খেলে হাড় সুস্থ থাকে।
৮। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট- ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বাড়ায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৯। ধূমপান- ধূমপানের জন্য শরীরের যে ক্ষতি হয় টমেটোর মধ্যে থাকা কোমেরিক ও ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড সেই ক্ষতি পূরণ করতে পারে।
১০। ক্যানসার- টমেটোর লাইকোপেন খুব ভাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই লাইকোপেন ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতে পারে। তাই রোজ টমেটোর স্যুপ খেলে প্রস্টেট, কোলোরেকটাল ও পেটের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।