মশলা হিসেবে হলুদের ব্যবহার তো সেই সুদূর অতীত থেকে। এর ঔষধি গুণের কারণে রূপচর্চা এবং চিকিত্সাতেও হলুদের ব্যবহার রয়েছে সমানভাবে। অ্যালার্জিজনিত হাঁচি, ঠাণ্ডাজনিত হাঁচি, সর্দি, কাশি, মাথাধরা সারাতেও হলুদের জুড়ি নেই। কী করে? জেনে নিন।
-
ওষুধ হিসেবে কাঁচা হলুদের ব্যবহারটাই বেশি। এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।
-
ঘুমানোর আগে পান করলে তাড়াতাড়ি কাজ দেবে।
কিন্তু হলুদের ব্যবহার এখানেই শেষ না। ত্বকের যত্নে ও রূপচর্চায়ও রয়েছে এর ব্যপক ব্যবহার। যেমন-
হলুদের ফেস প্যাক
হলুদ ফেস প্যাক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। আপনি চাইলে কাঁচা হলদু বেটে অথবা পাউডার হলুদ মিক্স করেও ফেস প্যাক বানাতে পারেন।
ত্বকের স্ক্রাব
প্রথমে ২ চামচ ময়দার সাথে দই ও অল্প একটু হলুদ ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগান। যখন দেখবেন শুকিয়ে আসছে তখন মুখের চারপাশে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে স্ক্রাব করুন।
ব্রণ নিরসনে
হলুদ আপনার ত্বকের ব্রণ নিরসনে সাহায্য করবে যা তৈলাক্ত ত্বক হওয়ার প্রধান কারন। যখন আপনি এই মিক্সটিকে স্ক্রাবারের মতো ব্যবহার করবেন এটা আপনার ত্বকের মৃত কোষকে দূর করতেও সাহায্য করবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে আপনি ডিমের সাদা অংশের সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস, গোলাপ জল ও একটু অলিভ অয়েল এবং এর সাথে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। তারপর আপনি প্যাকটি মুখে লাগান।
কনুই বা গোড়ালি যত্নে
আপনার কনুই বা গোড়ালিও যদি শুষ্ক হয় তাহলে সেখানেও আপনি ডিমের সাদা অংশের সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস, গোলাপ জল ও একটু অলিভ অয়েল এবং এর সাথে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে তৈরি প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। ব্যবহারের পর এটি পুরোপুরি শুকাতে দিন এবং শুকানোর পর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বাড়াবে।
ত্বকের বলিরেখা
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে মসুরে ডাল বাটা, কাঁচা হলুদ ও মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান।
** সাবধানতা অবলম্বন: হলুদ দিয়ে রুপ চর্চা করবেন রাতের বেলা। কারণ হলুদ দিয়ে কখনো রোদে বের হলে ত্বক পুরে কালো হয়ে যাবে।