টেলিমেডিসিন সেবা বলতে বোঝায় মোবাইল ফোন বা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। টেলিমেডিসিনের মূল কথা হলো তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের কাছে পৌছে দেয়া। উপজেলা বা জেলা স্তরের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ধীরে ধীরে এই সেবা চালু হবে। গ্রামীণফোন ও টিডব্লিউজির যৌথ সহায়তায় এই প্রকল্পটি চালু হয়েছে। দেশের প্রথম টেলি মেডিসিন সেবা কেন্দ্র হিসেবে চালু হয়েছে যশোরের ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্রে (ইউআইসি)। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ১০০ টাকা ফিস দিয়ে রাজধানীর আয়েশা মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড (প্রা.) হসপিটালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে স্কাইপের মাধ্যমে কথা বলে পরামর্শ নিতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে যশোরের মডেল অনুসরণে ঝালকাটি, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেটে শুরু হবে এ কার্যক্রম। টেলিমেডিসিন বাংলাদেশে এখনো একটি নতুন ধারণা। তবে সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে যেভাবে এই সেবা সম্প্রসারিত করার কথা বলা হচ্ছে তাতে হয়তো বড় শহরগুলোর বাইরের লোকের কাছে এটি অচিরেই একটি পরিচিত শব্দ হয়ে উঠবে।
যেভাবে কাজ করে টেলিমেডিসিন:
টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবা প্রদানের জন্য হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন যা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে এবং এই মোবাইলের তত্ত্বাবধানে সার্বক্ষণিক একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োজিত থাকেন। দিনে-রাতে যে কোন সময় ওই অঞ্চলের লোকেরা ডাক্তারের কাছ থেকে জরুরি চিকিৎসা সেবা বা পরামর্শ নিতে পারেন। এছাড়া পাশাপাশি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পুরোপুরিভাবে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা যুক্ত করা হবে। এজন্য আপনার নিকটস্থ হাসপাতাল থেকে জেনে নিতে হবে ঐ হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সার্ভিস চালু আছে কিনা। এছাড়া যে হাসপাতালে এই সার্ভিস চালু থাকে সেই হাসপাতালে গেলেই এ ধরনের প্রচারণা চোখে পড়বে।