বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠা হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ১৯৫৩ সালে সেবার দরজা উন্মুক্ত করে। মানসম্মত সেবা প্রদানই এদের মূল লক্ষ্য। মগবাজার ওভারব্রীজ থেকে ১০০ গজ পশ্চিম দিকে ইস্কাটন গার্ডেন রোড - এ এটি অবস্থিত।
অনুসন্ধান ডেস্ক ও অ্যাম্বুলেন্স
রোগীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে গেট দিয়ে ঢোকার মুখে মূল ভবনের নিচ তলায় রয়েছে অনুসন্ধান ডেস্ক। জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগ: ৮৩১১৭২১-৫। এই হাসপাতালের নিজস্ব ৪টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। যোগাযোগ: ৮৩১১৭২১-৫।
রোগী ভর্তি হতে করণীয়
রোগীকে এই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হলে প্রথমে অনুসন্ধান ডেস্ক-এ গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পাবার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগী ভর্তি করানো হয়। ভর্তির জন্য আলাদা কোন খরচ নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর সাথে একজনকে থাকার অনুমতি দিয়ে তাকে একটি কার্ড সরবরাহ করে। এই কার্ডটি সঙ্গে থাকলে তাকে রোগীর সাথে দেখা করার জন্য কোন টিকেট কাটতে হবে না। অন্যদের রোগীর সাথে দেখা করার জন্য প্রতিজনের দশ টাকা মূল্যের গেইট পাস বা টিকেট সংগ্রহ করতে হয়।
বহি:বিভাগের চিকিৎসা সেবা
এই হাসপাতালে বহি:বিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ রোগীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে থাকেন। প্রথমবার রোগীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য ৩০০ টাকা মূল্যের একটি কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। পরবর্তী ১ (এক) বছর এই কার্ড দেখিয়ে মাত্র ১০০ টাকা ভিজিট দিয়ে ডাক্তার দেখানো যায়। এখানে মেডিসিন, সার্জারী, গাইনী, অর্থোপেডিক, শিশু রোগ, চক্ষু, নাক-কান-গলা, কার্ডিওলজি, নিউরো সার্জারী, নিউরো মেডিসিন, কিডনি, মানসিক রোগ, ডায়বেটিস, চর্ম রোগ, ইউরোলজি সহ মোট ১৭টি বিভাগের অধীনে প্রতিদিন রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
যে সকল রোগের অপারেশন করা হয় এবং অপারেশনের চার্জ
এখানকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জেনারের সার্জারী, গাইনী, অর্থোপেডিকস, ইএনটি, নিউরো সার্জারী, অপথালমোলজি (Ophthalmology), ডায়ালাইসিস, এন্ডোসকপি এন্ড ক্লোনোসকপি, ডার্মাটো সার্জারী সহ বিভিন্ন জটিল রোগের অপারেরশন করে থাকেন। রোগের মাত্রা ও ডাক্তারদের উপর নির্ভর করে অপারেশর চার্জ নির্ধারিত হয়।
কেবিন ও ওয়ার্ডের মোট সংখ্যা, ভাড়া
তিন তলা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে ৮টি ওয়ার্ডে ৪০০টি সিট ও ৮৩টি কেবিন রয়েছে। এখানে সিঙ্গেল সিটের কেবিন ভাড়া ২,২০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত। ওয়ার্ডে সিট ভাড়া ১,৫০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা। এসি যুক্ত কেবিনের ভাড়া কেবিন ভেদে তারতম্য হয়। কেবিন ও ওয়ার্ডে সিট পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান ডেস্ক এ যোগাযোগ করতে হয়। জরুরী প্রয়োজনে সিট না পাওয়া গেলে রোগীদের অন্য হাসপাতালে ট্রান্সফার করা হয়।
টেস্ট সুবিধা
হাসপাতালের নিজস্ব ল্যাবে আলট্রাসনোগ্রাম, ইটিটি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, ইসিজি, সিটি স্ক্যান ও এক্স-রে ইত্যাদি টেস্ট করানোর সুবিধা রয়েছে।
ঔষধের দোকান, ব্লাড ব্যাংক
ইনডোর এর দ্বিতীয় তলায় এবং আউটডোর এর নিচতলায় হাসপাতালের নিজস্ব ঔষধের দোকান রয়েছে। যেগুলো দিন রাত ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকটি এক্সট্রা বিল্ডিং এর নিচতলায় অবস্থিত।
লাশ খোঁজার প্রকিয়া, পোষ্ট মর্টেম
হাসপাতালে লাশ ঘরে লাশ সংরক্ষিত থাকে। সেখান থেকে লাশ খুঁজে বের করতে হয়। হাসপাতালে কোন রোগীর মৃত্যু হলে, প্রথমে ভর্তি খাতা থেকে নাম কেটে হাসপাতালের যাবতীয় বিল পরিশোধ করতে হয়, তারপর বিল পরিশোধের মানি রিসিট দেখিয়ে লাশ গ্রহণ করতে হয়। এই হাসপাতালে লাশ পোষ্ট মর্টেমের কোন ব্যবস্থা নেই।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স/ব্রাদার
৪০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ১৭টি চেম্বার রয়েছে এই হাসপাতালে। রোগীদের সঠিক উপায়ে পরিচর্যার জন্য ১৮০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও ২০ জন অপ্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স/ব্রাদার রয়েছে।
গাড়ি পার্কিং, অগ্নি নির্বাপন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা
হাসপাতালের সামনে, ভেতরে ও চারপাশে গাড়ি রাখার জন্য প্রচুর খোলা জায়গা রয়েছে। যেখানে প্রায় ২০০ টি গাড়ি পার্ক করা যায়। গাড়ি পার্কিং এর জন্য কোন চার্জ দিতে হয় না। হাসপাতালের অভ্যন্তরে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা আছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোকবল নিরাপত্তার দায়িত্বে সবসময় নিয়োজিত থাকেন।
লিফট, অভিযোগ বক্স
ডাক্তার ও রোগীদের ব্যবহারের জন্য মূল ভবনের পূর্ব পাশে ২টি লিফট রয়েছে। রোগীদের কোন অভিযোগ থাকলে, অভিযোগ বক্সে লিখিত আকারে রেখে যেতে হয়। মূল ভবনের নিচতলায় কেচি গেটের সাথে হাতের বাম পাশে অভিযোগ বক্স সাঁটানো আছে।