নিয়ন্ত্রণে না রাখলে ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক রোগ হয়ে উঠতে পারে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ, চোখের অসুখসহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জন্য। একারণে চল্লিশ পেরোনোর পর ডায়াবেটিস হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করতে হয়।
ডায়াবেটিস নির্ণয়ে রক্ত পরীক্ষা হচ্ছে রক্তে শর্করার মাত্রা নির্ণয় করা। এজন্য একবার সকালে খালি পেটে রক্ত পরীক্ষা করতে হয়, তারপর নাস্তার দু’ঘণ্টা পর রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। পরীক্ষাটি ঝামেলাপূর্ণ হওয়ায় অনেকের মধ্যেই অনীহা দেখা যায়। অবশ্য র্যান্ডম টেস্টে এ ঝামেলা নেই। কিন্তু এসব পরীক্ষায় কেবল তাৎক্ষণিক অবস্থা জানা যায়। কারো রক্তে হয়ত এখন শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে, কিন্তু কয়েকদিন আগে ছিল না।
তাই অনেকে সময় বিগত দিনগুলোয় রোগী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলেন কিনা সেটা জানা প্রয়োজন হয়। এইচবিএওয়ানসি (HbA1c) এমন একটি পরীক্ষা। বিগত তিন মাসে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ছিল কিনা এ পরীক্ষার মাধ্যমে সেটি জানা যায়।
শর্করা রক্তের হিমোগ্লোবিনের সাথে যুক্ত হয়ে গ্লাইকোসাইলেটেড হিমোগ্লোবিন তৈরি করে, একে A1C বা HbA1C বলা হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে এই গ্লাইকোসাইলেটেড হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। লোহিত রক্ত কণিকার আয়ু দুই মাস থেকে তিন মাসের মত। তাই HbA1C এর মাত্রা পরিমাপের মাধ্যমে বিগত তিন মাসে ডায়াবেটিসের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
পরীক্ষাটি যে কোন সময়ে করা যায়। কোন পূর্ব প্রস্তুতি প্রয়োজন হয় না।
HbA1C এর মাত্রা-
-
৫.৭% এর কম হলে ডায়াবেটিস নেই বলে ধরে নেয়া হয়।
-
৫.৭% থেকে ৬.৪% এর মধ্যে হলে প্রি-ডায়াবেটিস অবস্থা বলা হয়।
-
৬.৫% বা এর বেশি হলে ডায়াবেটিস আছে বলে ধরে নেয়া হয়।
আপলোডের তারিখ: ০৬/১০/২০১২
গ্রন্থনা: শিহাব উদ্দিন আহমেদ