বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানার উন্নয়ন এবং বিস্তারের সাথে সাথে শিল্পাঞ্চলে নতুন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। বিভিন্ন ধরনের শ্রমিক অসন্তোষকে পুঁজি করে বিভিন্ন মহল শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। এর ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন রপ্তানীমুখি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এমতাবস্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিশেষ পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এজন্য ঢাকা রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা আশুলিয়াতে ক্ষুদ্র অবয়বে গাজীপুর জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীনে শিল্পাঞ্চল পুলিশ ২০০৯ - এর জুন থেকে পরিচালিত হতো। ক্রমে দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলসহ সীতাকুন্ডে জাহাজকাটার এলাকাটিও শিল্পাঞ্চলও পুলিশের দায়িত্বভুক্ত এলাকায় এনে শিল্পাঞ্চল-এর জন্য বৃহত্তর ও পারঙ্গম একটি সুশৃঙ্খল পুলিশ সংস্থা গড়ার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ৩১ অক্টোবর ২০১০ তারিখ থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্পাঞ্চল পুলিশের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। এতে একজন মহাপরিচালক ৫ জন পরিচালকসহ ১৮ টি পদে সর্বমোট ১৫৮০ জন নিয়োজিত আছেন।
এই পুলিশ বাহিনী স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে শ্রমিক এবং মালিকপক্ষ উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য চেষ্টা করে থাকে। মালিকপক্ষ যাতে যথাসময়ে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেয় সেদিকেও শিল্প পুলিশ লক্ষ্য রাখে।