বেসরকারী উদ্যোগে সিদ্দিকীয়া ছাত্রী নিবাস ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। এখানে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
অবস্থান
আজিমপুর মাতৃসদন থেকে পশ্চিমে ছাপড়া মসজিদের কাছাকাছি শাহ্-সাহেব বাড়ীর ঠিক ৬০ গজ দক্ষিণে আনন্দ ভবনের পশ্চিমে মা-জেনারেল ষ্টোর সংলগ্ন সাদা রং করা ভবনে সিদ্দিকীয়া ছাত্রী নিবাস অবস্থিত।
ঠিকানা
২৯/ বি, আজিমপুর রোড, ছাপড়া মসজিদের পাশে শাহ্-সাহেব বাড়ীর মোড়ে, ঢাকা- ১২০৫
মোবাইল- ০১৭১১-০৪২৪৬২
ফোন- ০২-৮৬৫০৬৩৯
ভবনের বর্ণনা
-
৪ তলা বিশিষ্ট ভবন।
-
৩য় তলা এবং ৪র্থ তলায় বোর্ডার রাখা হয়।
-
এখানে মোট ১০ টি বেডরুম আছে।
-
প্রত্যেক ফ্লোরে ২ টি বারান্দা আছে।
-
প্রত্যেক ফ্লোরে ৩ টি করে টয়লেট আছে।
-
এখানে একটি মাত্র ডাইনিং রুম আছে।
-
এখানে ১০০ বর্গফুট এবং ২০০ বর্গফুট দুই ধরণের রুম রয়েছে।
-
রুমগুলোতে ৪ জন থেকে ৫ জন করে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
-
রুমগুলোর ফ্লোর সাধারণ এবং হোয়াইট ওয়াশ করা।
বুকিং, ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ
-
হোষ্টেলে সিট পাওয়ার জন্য হোষ্টেল সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়।
-
যোগাযোগের মোবাইল নম্বর: ০১৭১১-০৪২৪৬২
-
সিট পাওয়ার জন্য ১ মাস পূর্বে যোগাযোগ করতে হয়।
-
খালি থাকা সাপেক্ষে সিট বুকিং দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
-
সিট পাওয়ার জন্য অগ্রীম বাবদ একমাসের ভাড়া ও খাওয়ার সম্পূর্ণ টাকা এবং ভর্তি ফি বাবদ আরো ১০০০ প্রদান করতে হয়।
-
সিট নেওয়ার সময় অভিভাবকসহ এসে ছাত্রীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হয়।
-
সিঙ্গেল বেডের ভাড়া এবং খাওয়ার খরচ সহ ৩,৮০০ টাকা প্রদান করতে হয়।
-
ডাবল বেডের ভাড়া এবং খাওয়ার খরচ সহ ৩,০০০ টাকা প্রদান করতে হয়।
-
প্রতি মাসে জনপ্রতি ২৫০ টাকা হারে বুয়া, পত্রিকা এবং সিকিউরিটির জন্য আলাদা চার্জ নেওয়া হয়।
-
প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে চলতি মাসের ভাড়া নগদে পরিশোধ করতে হয়। কারণে যদি বোর্ডার তার ভাড়াটি না দিতে পারে সেক্ষেত্রে তাকে প্রতিদিন ১০ টাকা হারে জরিমানা প্রদান করতে হয়
খাবার মেনু
-
সকাল- রুটি, সুজি/ডাল/ডিম।
-
দুপুর- ভাত, মাংস (৪ দিন), ভাত, মাছ (ডিম)।
-
রাত- ভাত, সুজি, ডিম।
-
মাসের শেষে ১ দিন পোলাও মাংস খাওয়ানো হয়।
-
এখানে ছাত্রীদের রান্না করতে দেওয়া হয় না।
বিবিধ
-
হোষ্টেলটি সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই সময়ের মধ্যে ছাত্রীদের বাইরের কাজ সেরে হোষ্টেলে ফিরতে হয়।
-
মেহমান রাখার ব্যবস্থা নেই।
-
রুমের খাট, টেবিল, চেয়ার এবং বাল্ব হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করে থাকে।
-
বোর্ডারদের সাথে গেষ্ট দেখা করতে আসলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বাইরে দেখা করতে হয়।
-
কোন বোর্ডার অসুস্থ হলে হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করে থাকে। চিকিৎসা খরচ বোর্ডার বহন করতে হয়।
-
সিট বাতিলের জন্য হোষ্টেল কর্তৃপক্ষকে ১ মাস পূর্বে জানাতে হয়।
-
চলে যাওয়ার সময় আলোচনা সাপেক্ষে কিছু সার্ভিস কেটে রাখা হয়।
-
টাকা, গহনা এবং মোবাইল সামগ্রী নিজ দায়িত্বে রাখতে হয়।
-
টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার ব্যবহার করা যায়।
-
কম্পিউটার ব্যবহার করলে আলাদা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়।
-
হোষ্টেলটিতে সার্বক্ষনিক দারোয়ান রয়েছে।
-
অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা নেই।
-
খাওয়া-দাওয়ার জন্য আলাদা ডাইনিং রয়েছে।
-
কোন হল রুম নেই।