ব্যক্তি উদ্যোগে ২০০৬ সালে সবুজ বাংলা মেস প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে সকাল ৬ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত মেসের বোর্ডারদের আসা যাওয়ার জন্য প্রধান দরজা খোলা থাকে।
ঠিকানা
দয়াগঞ্জ নতুন মোড় থেকে ১০০ গজ সামনে ও নারিন্দা পুলিশ ফাঁড়ির ঠিক পূর্ব দিকে সবুজ বাংলা মেস অবস্থিত। মেসের ঠিকানা ১৮/১, বেগমগঞ্জ লেন, নারিন্দা, ঢাকা- ১১০০। মোবাইল- ০১৯২০-৮৮৩৫৯৪
ভবনের বর্ণনা
৭ তলা ভবনের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম এই তিন তলাতে মেস রয়েছে। প্রত্যেক ফ্লোরেই বারান্দা এবং দুটি করে বাথরুমের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সার্বক্ষণিক পানি এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা নেই।
রুমের অবস্থা
এখানে প্রত্যেক রুমের আকার দৈর্ঘ্যে ১২ থেকে ১৬ ফুট এবং প্রস্থে ১০ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত। রুমপ্রতি দুই জন এবং ৪ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে কোন ডাইনিং রুম নেই। প্রত্যেক রুমে খাবার বাটি পৌঁছে দেওয়া হয়।
সিটের ভাড়ার হার
সবুজ বাংলা মেসে মাসিক জনপ্রতি থাকা খাওয়ার খরচ হয় ৩,৫০০ টাকা। এছাড়া পত্রিকার জন্য মাসিক ৩০ টাকা, বুয়ার রান্নার জন্য ২০০ টাকা করে প্রদান করতে হয়। এখানে মেহমানদের একদিনের বেশী থাকার নিয়ম নেই। বিশেষ প্রয়োজনে মেস সুপারের অনুমতিক্রমে একাধিক দিন থাকা যায়। সেক্ষেত্রে শুধু খাওয়ার জন্য প্রতি বেলা অতিরিক্ত ৪০ টাকা প্রদান করতে হয়।
সিট বুকিং
এখানে সিট পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্বে যোগাযোগ করতে হয়। অগ্রিম হিসেবে একমাসের খরচ ৩,৫০০ টাকা জমা দিতে হয়। এখানে সিট পেতে কোন প্রকার ভর্তি ফি বা রেজিষ্ট্রি ফি কিংবা কোন প্রকার পরিচয় পত্র জমা দিতে হয় না। সিট বাতিলের জন্য কর্তৃপক্ষকে একমাস আগে থেকে অবহিত করতে হয়। যে কোন বয়সের ছাত্র এবং চাকুরিজীবী মেসে সিট পেতে পারে।
খাবারের মেনু
সবুজ বাংলা মেসে তিন বেলা প্রায় একই রকম খাবার মেনু রয়েছে খাবার মেনু নিম্নরুপ-
সকালের খাবার
|
ভাত, আলু ভর্তা
|
দুপুরের খাবার
|
ভাত, মাছ, সবজি
|
রাতের খাবার
|
ভাত, মাছ, ডাল
|
এছাড়া প্রতি শুক্রবার ও সোমবার মাছের পরিবর্তে মুরগী/ গরুর মাংস দেওয়া হয়ে থাকে।
সুবিধা
-
এই মেসে নিরাপত্তা ও পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য সার্বক্ষণিক ২ জন নিরাপত্তাকর্মী এবং ২ জন পরিচ্ছন্নকর্মী রয়েছেন।
-
মেস কর্তৃপক্ষ শুধু খাট সরবরাহ করে থাকে। তোষক, বালিশ, চেয়ার ও টেবিল প্রয়োজনমত বোর্ডারকে নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করতে হয়।
বিবিধ
এই মেসে বোর্ডারগন নিজ দায়িত্বে ডিস, ইন্টারনেট এবং ফোন ব্যবহার করতে পারে। রাত ১০ টার পর রুমের লাইট বন্ধ করতে হয়। তবে বাকি রুমমেটদের সম্মতি গভীর রাত পর্যন্ত লাইট জ্বালিয়ে রাখা যায়। এখানে টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে রাখার কোন নিয়ম নেই। নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা কোন রুম নেই। বোর্ডারদের টাকা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিজ দায়িত্বে রাখতে হয়।