বাংলাদেশে জমি ক্রয়-বিক্রয় করার পর অবশ্যই তা রেজিষ্ট্রি করতে হয়। আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সরাসরী তদারকিতে প্রত্যেক উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব রেজিষ্ট্রার জমির ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতিতে বিভিন্ন শর্তাবলীর উপর ভিত্তি করে জমি রেজিষ্ট্রেশন/নিবন্ধন করিয়ে থাকেন।
রেজিষ্ট্রেশনে প্রয়োজন
জমির নতুন দলিল, খতিয়ান, খারিজের কাগজ (যদি থাকে), জমির মূল্য, সাক্ষী, নকশা, সীমানা প্রাচীরের বর্ণনা ও বিক্রেতার অনাপত্তিতে জমি রেজিষ্ট্রেশন করে থাকেন রেজিষ্ট্রার। এছাড়া জমির মোট মূল্যের ২০% হস্তান্তর কর সরকারকে প্রদান করতে হয়। জমি রেজিষ্ট্রেশন/নিবন্ধনের পর স্থানীয় আয়কর কার্যালয়ে চিঠি মারফত অবগত করা হয়।
খাজনার প্রকারভেদ
বাংলাদেশের জমিগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। কৃষি ও অকৃষি জমি। কৃষি জমির ক্ষেত্রে ৮.২৫ একর পর্যন্ত জমির কোন প্রকার কর/খাজনা দিতে হয় না। তবে ৮.২৫ একরের বেশী ও ১০ একরের বেশী যেকোন পরিমাণ জমির জন্য ১০ টাকা হারে প্রত্যেক ডেসিমেল এর জন্য কর/খাজনা দিতে হয়।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও গাজীপুর জেলার অকৃষি জমির প্রত্যেক ডেসিমেল জমির বাৎসরিক খাজনা ২২ টাকা। অন্যান্য জেলা শহরে প্রত্যেক ডেসিমেল জমির বাৎসরিক খাজনা ২২ টাকা, পৌরসভায় ১৭ টাকা এবং অন্যান্য এলাকা ১৫ টাকা।