কিছু কিছু গল্প থাকে যার চিত্রনাট্য কাউকে রচনা করতে হয়না, তার রচয়িতা সয়ং প্রকৃতি। মানুষের জীবনের ভালোবাসার গল্পও ঠিক তেমনই। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি সবারই জীবনে থাকে ভালোবাসার গল্প,কাছে আসার গল্প। আজ এই ফাগুনে পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এবং তার স্ত্রী নাজিবার ভালোবাসার গল্প।
আড্ডার শুরুতেই তপুর কাছে জানতে চাইলাম কেমন ছিল তাদের প্রেমের শুরুটা?
তপুর সহজ উত্তর, ‘আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসার্টে গিয়ে ওকে দেখি। প্রথম দেখেই ওকে আমার ভালো লাগে। আমি ওর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতে থাকলাম। পেয়ে গেলাম ফেসবুকে। ফেসবুকে যখন ওর সঙ্গে প্রথম কথা বলি তখন ও বিশ্বাস করেনি যে আমিই ওর সঙ্গে কথা বলছি। ওকে বিশ্বাস করানোর জন্য আমি ওকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিই। কিছুদিন পর সে আমাকে ফোন দেয়।
জানতে চাইলাম প্রথমবার কে প্রপোজ করেছিল?
তপু জানালেন, ‘ওভাবে প্রপোজ কেউই করিনি আমরা। ফোনে প্রথম কথা বলার পর থেকে এটা যেন নিয়মিত অভ্যাসে পরিনত হয়ে যায় আমাদের। এটা ২০০৯ সালের কথা। এরপর থেকে একদিন কথা বলতে না পারলে মনে হতো দিনটাই বৃথা’।
কথা বলতে বলতে অনেকদিন পার করে ফেললেও একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা করেছেন বেশ পরে। তপু জানান, ‘আমরা প্রথম দেখা করি ঈদের দিন। ঐ দিন ওকে দেখার পর নতুন করে আবার ওর প্রেমে পড়ি। ফোনে প্রথম কথা বলার পর যেমন নিয়মিত কথা বলা অভ্যাসে পরিনত হয়, প্রথম দেখা করার পরও ঠিক তেমনই হয়।
এরপরও কি কেউ ভালোবাসার কথাটা জানাননি কাউকে?
উত্তরে তপু বলেন, ‘আমি তাকে একদিন হঠাৎ করে বলি যে, আর রিস্ক নেওয়া ঠিক হবে না। সবাইকে না জানিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে তোমার সাথে দেখা করতে ভালো লাগে না। তুমি যদি রাজি থাক আমি পারিবারিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাই তোমার বাসায়। তবে এর আগে তুমি তোমার পরিবারের সঙ্গে কথা বল। এরপর সে সবার আগে তার মা’কে জানায়। এর বেশকিছুদিন পর বাবাকেও জানায়। আমিও আমার পরিবারকে জানাই। দুই পরিবারের সম্মতিতে ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট আমাদের পানচিনি সম্পন্ন হয়’।২০১২ সালে পানচিনি সম্পন্নের পর ২০১৩ সালে বিয়ে।
এর মাঝখানে দুজনের রোমান্স কেমন চলেছে?
উত্তরে তপু জানান, ‘যখন সবাই আমাদের প্রেমকে স্বীকৃতি দিল তখন আর আমাদের কে পায়! অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করছিল দুজনের ভেতরেই। এর মাঝে নিজেদের তৈরি করে নিয়েছিলাম বিয়ের জন্য। অতঃপর ২০১৩ সালে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়’।
বিয়ের পর কোথায় গিয়েছিলেন হানিমুনে?
তপু জানান ‘কক্সবাজার থেকে শুরুটা। এরপর তো ঘুরেছি নানান জায়গায়। সামনে আরও ঘুরবো।‘
এভাবেই চলছে তপু এবং নাজিবার জীবন। এভাবেই ভালোবাসার একজীবন পার করে দিক তারা এই শুভকামনা রইলো অনলাইন ঢাকা গাইডের পক্ষ থেকে।