একজন কণ্ঠশিল্পী থেকে নিজেকে বহুগুণে সমৃদ্ধ করে চলছেন ক্ষুদে গানরাজ পড়শী। বিনোদনের প্রতিটি শাখায়ই তিনি নিজের যোগ্যতা প্রমাণে সচেষ্ট থাকছেন। গান থেকে শুরু করে অভিনয়-মডেলিং, বাদ রাখছেন না কোনোটিই। দিনদিন তিনি যেন ধ্রুপদীকন্যা হয়ে উঠছেন। ২০০৮ সালে তিনি চ্যানেল আইয়ের ক্ষুদে গানরাজ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল সংগীত শিল্পী হওয়ার।
জন্ম ও পরিবার:
১৯৯৬ সালের ৩০ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন পড়শী। তার বাবার নাম এহসান উর রশিদ এবং মায়ের নাম জুলিয়া হাসান। বাবা পেশায় একজন প্রকৌশলী এবং মা গৃহিণী। পড়শী ছাড়াও তাদের সংসারে সিয়াত এহসান স্বাক্ষর নামে একটি ছেলে রয়েছে।
পড়াশোনা:
শিক্ষাজীবনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে তিনি পড়াশোনা করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষাটুকু গ্রহণ করেছেন অক্সফোর্ড ফাউন্ডেশন স্কুল থেকে। এরপর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এবং সবশেষে ২০১৩ সালে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাণিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ ৪.৯৪ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ক্যামব্রিয়ান কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যয়নরত।


নাচ থেকে গানে
ছোটবেলায় পড়শী মূলত ছিলেন নাচের শিক্ষার্থী। সেখান থেকেই হঠাৎ করে গানের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। আসুন পড়শীর মুখেই শুনি সে গল্প -
‘আমি তখন নিয়মিত নাচ শিখতে যেতাম। নাচ শেখার পাশের ঘরে গানের ক্লাস হতো। একদিন একটি নজরুল সঙ্গীত আমার খুব ভালো লাগে। সেদিন বাড়ি ফিরেই নানুকে বললাম, আমি গান শিখব। তিনি আমার চেয়েও বেশি উৎসাহ নিয়ে পরদিনই আমাকে গানের ক্লাসে ভর্তি করিয়ে দিলেন। কোহিনুর খানের কাছে আমার গানের হাতেখড়ি। এরপর গান শিখতে শিখতেই একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিলাম। সেখানে ছড়াগানে প্রথম আর দেশাত্মবোধক গানে তৃতীয় হয়ে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। তারপরই ক্ষুদে গানরাজে অংশ নেই। আমি মনে করি, এই প্রতিযোগিতাটিই আমার জীবনটাকে পাল্টে দিল।’