“তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে”, “ও ডাক্তার”, “মাগো মা, ওগো মা”, “যেখানে সীমান্ত তোমার” সহ আরও অসংখ্য গানের পুরোধা সংগীত শিল্পী ও সংগীত পরিচালক কুমার বিশ্বজিৎ ২০০৯ সালে ‘স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা’ চলচ্চিত্রে ‘মা’ গানটি গাওয়ার মাধ্যমে শিল্পী ও সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে ‘প্রজাপতি’ ফিল্মে ‘ছোট ছোট আশা খুঁজে পেলো ভাষা’ গানটির মাধ্যমেও একই পুরস্কার অর্জন করেন। সঙ্গীতের আবহেই জন্ম তার। ‘তোরে পুতুলের মত করে সাজিয়ে’ গান দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি পেয়েছিলেন জনপ্রিয় গায়কের খ্যাতি।
জন্ম:
১লা জুন এই জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীর জন্মদিন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক। তার সন্তানের নাম নিবিড়।
কুমার বিশ্বজিতের একান্ত কিছু বিষয়:
প্রথম স্কুল
-
সীতাকুণ্ড প্রাইমারি স্কুল।
মঞ্চে প্রথম গান
-
চার বছর বয়সে চট্টগ্রামের মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে।
প্রথম গানের অ্যালবাম
-
১৯৮২ সালে বেস্ট হিটস অব কুমার বিশ্বজিৎ।
গানের গুরু
-
আমার প্রথম গানের শিক্ষক তেজেন সেন। এ ছাড়া আরও অনেকে আছেন। যেমন: মান্না দে, কিশোর কুমার।
গান গেয়ে প্রথম উপার্জন
-
১৯৭১ সালে শরণার্থী শিবিরে গান গেয়ে পাঁচ টাকা পেয়েছিলাম।
ছেলেবেলার মজার ঘটনা
-
ছোটবেলায় একবার বন্ধুরা মিলে মুরগি চুরি করেছিলাম পিকনিক করার জন্য। যখন সব তৈরি, দেখি মুরগিরা পালিয়ে গেছে!
প্রথম গিটার
-
ষষ্ঠ শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় গিবসন গিটারই আমার প্রথম গিটার।
দেশের বাইরে প্রথম গাইতে যাওয়া
-
১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস।
সব সময় যে তিনটি জিনিস সঙ্গে থাকে...
-
মুঠোফোন, মানিব্যাগ আর একটি কলম।
যখন অবসর
-
ছেলে কুমার নিবিঢ়ের সঙ্গে খেলি, আর ইচ্ছা করে হেরে যাই। কারণ, সব সময় ওকে জয়ী দেখতেই ভালো লাগে।
গুনগুনিয়ে গাইছি যে গান
-
কিশোর কুমারের আমি নেই ভাবতেই আমার ব্যথায় ব্যথায় মন ভরে যায়।
গান ছাড়া অন্য যে কাজে পারদর্শী
-
গান ছাড়া আর কোনো কাজই পারি না।
যে স্বপ্নটা প্রায় দেখি (ঘুমের ঘোরে)
-
আমার বাবা, মা, দাদাকে দেখি।
বাংলাদেশের যে দিকটি বদলে দিতে চাই
-
এ দেশে সততা ও দেশপ্রেমের অভাব। এই দুটি দিক বদলে দিতে চাই।