অভিনয়, মডেলিং, নাচ সর্বক্ষেত্রে সমান দক্ষতা রয়েছে তাহমিনা সুলতানা মৌ এর। শৈল্পিক ও সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে মৌ এখন টিভি পর্দার জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী হয়ে উঠেছেন। ১৯৯৯ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘চোরচোর’ নাটকের মাধ্যমে সর্বপ্রথম টিভি নাটকে নাম লেখান মৌ।
২০০২ সালের দিকে নাট্যদল ‘নাট্যচক্র’-এ যোগ দিয়ে মঞ্চে কাজ শুরু করেন মৌ। পরবর্তী সময়ে ‘সুবচন’ নাট্যদল ও শেষে ‘বটতলা’ থিয়েটারের হয়ে নিয়মিত কাজ শুরু করেন। বটতলা থিয়েটারের ‘ধামাইল’ ও ‘খনা’ নাটকের নিয়মিত মঞ্চকর্মী হিসেবে অভিনয় করেছেন তিনি।
মৌ’র বাবা প্রয়াত এস এম হুমায়ুনও একজন সফল অভিনেতা ছিলেন। এ ছাড়া বোন ও ভগ্নিপতি (শাবনাজ-নাঈম) চলচ্চিত্রের ঈর্ষণীয় সফল জুটি ছিলেন। মা আঞ্জুমান নাহার সবসময় অভিনয়ের জন্য অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন। ২০০১ সালে মা-বাবার ছোট মেয়ে মৌ বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। স্বামী মনিরুল আলম পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
মৌ অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে - ‘জননী’, ‘মায়া’, ‘অলসপুর’, ‘দুই টাকার বাহাদুরী’, ‘শান্তকুটির’, ‘জ্যোৎস্না, তৃণার গল্প’ ও ‘গুলশান এভিনিউ’, ‘এলেবেলে’, ‘তিন তালা তিন চাবি’, ‘কর্তাকাহিনী’ এবং ‘সুপারস্টার’,
বিজ্ঞাপনচিত্র সমূহ:
আহমেদ কিসলুর ‘গুড নাইট কয়েল’ ও অনিমেষ আইচ নির্মিত ‘ইস্টার্ন হাউজিং’-এর বিজ্ঞাপনচিত্র দু’টি তাঁর ক্যারিয়ারে যোগ করে নতুন মাত্রা।
আজকের মৌ হয়ে ওঠার পেছনে:
মৌ এর ভাষ্যমতে - “নাচ, মডেলিং এবং অভিনয় সবকিছুর জন্য শামিম আরা নীপা ও শিবলী মুহম্মদ’র অবদান সবচেয়ে বেশি। ১৯৯৩ এর দিকে তারা আমাকে একদম ফ্রি নাচ শিখিয়েছেন এবং তাদের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। বলতে গেলেই তাদের জন্যই আমি আজকের মৌ।”