
শফিউল আলম বাবু একজন সফল উপস্থাপক ও অভিনেতা। শিল্পী সমাজে সকলের কাছে তিনি বাবু ভাইই নামেই পরিচিত। মঞ্চ নাটক এবং টেলিভিশন নাটকের সাথে তার অনেক নিবির ও অনেক দিনের পুরানো সম্পর্ক।
জন্মঃ
২১ শে মার্চ চাঁদপুরে বাবু ভাইয়ের জন্ম। জন্মসূত্রে তিনি মেষ রাশির জাতক।
কর্ম জীবনঃ
বর্ণচোরা নাট্য গোষ্ঠীর সাথে প্রথম মঞ্চ নাটক করেন ১৯৮৩ সালে, নাটকের নাম- ‘জমিদার দর্পণ’। এরপর, লেখাপড়ার সুবাদে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারে কাজ করেন। সে সময় প্রখ্যাত নাট্যকার সেলিম-আল-দ্বীন স্যারের সাথে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তারপর তাকে আর কখনই পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ঢাকা পদাতিকের সাথে কাজ শুরু করে এখন পর্যন্ত চলছে।

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে নাট্য শিল্পী হিসেবে এবং ১৯৯৮ সালে উপস্থাপক হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তারপর থেকেই ক্রমাগত উপস্থাপক ও অভিনেতা হিসেবে কাজ করে চলেছেন। বিটিভি –তে প্রচারিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান সপ্তডিঙায় উপস্থাপনার মাধ্যমে তিনি দর্শক নন্দিত হয়ে ওঠেন। একই সাথে টেলিভিশন নাটকে ক্রমাগত কাজ করেন। প্রথম নাটক গোলাম মোস্তফা সংগ্রাম পরিচালিত ‘বেলা শেষে’। উপস্থাপনা ও অভিনয় সূত্রে তিনি পৃথিবীর অনেক দেশেই সফর করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, সিঙ্গাপুর, দুবাই, বাহরাইন এবং ভারত সফর।
শফিউল আলম বাবু অভিনিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলঃ
১। ভালোবাসা ভালো না (ধারাবাহিক নাটক)
২। চন্দ্র গ্রহন (হুমায়ুন আহমেদ)
৩। কালা কইতর (হুমায়ুন আহমেদ)
৪। মাধবী লতা (একক নাটক)
৫। অহংকার (ধারাবাহিক নাটক)
৬। গুলশান এভিনিউ (ধারাবাহিক নাটক)
৭। কাঁচের পুতুল (ধারাবাহিক নাটক)
৮। হানিমুন পর্ব (একক নাটক)
৯। নিশিগন্ধা (ধারাবাহিক-কামাল খান)
১০। মায়ানিগম (ধারাবাহিক-গোলাম মোস্তফা শিমুল)
১১। সেকেন্ড ইনিংস (ধারাবাহিক-ইদ্রিস হায়দার)
১২। উত্তরাধিকার (ধারাবাহিক-কায়সার আহমেদ)
১৩। ছবির হাট (ধারাবাহিক-গাজী আপেল মাহমুদ)
১৪। মাকড়শা (ধারাবাহিক-শেখ সেলিম)
|
১৫। বুমেরাং (একক নাটক)
১৬। মানিকগঞ্জের বড়মিয়া (ধারাবাহিক নাটক)
১৭। অহংকার (ধারাবাহিক নাটক)
১৮। নিশীগন্ধা (ধারাবাহিক নাটক)
১৯। সেকেন্ড ইনিংস (ধারাবাহিক নাটক)
২০। মায়া নিগম (ধারাবাহিক নাটক)
২১। গীতিকার (ধারাবাহিক নাটক)
২২। বৃদ্ধাশ্রম (টেলিফিল্ম-সংগ্রাম মিন্টু)
২৩। ভালোবাসা ভাল না (ধারাবাহিক-মনোজ সেন গুপ্ত)
২৪। কালা কইতর (ধারাবাহিক-হুমায়ূন আহমেদ)
২৫। চন্দ্রগ্রহন (একক- হুমায়ূন আহমেদ)
২৬। মাধবীলতা (একক-ঈশ্রাক আফরিদ)
২৭। রঙ্গিলা (ধারাবাহিক-কায়সার আহমেদ)
২৮। বাংলার বার ভূঁইয়া (ধারাবাহিক-ডায়াল রহমান)
|
বাবুর অর্জিত পুরস্কারসমূহঃ (অভিনয় ও উপস্থাপনা)
১। বাচসাস (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি)
২। ট্র্যাব (টেলিভিশন রিপোর্টারস এ্যাওয়ার্ড অব বাংলাদেশ)
৩। টি,ডি,এফ (টেলিভিশন দর্শক ফোরাম)
৪। সি,জি,এফ,বি (কালচারাল জার্নামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ
৫। বাবিসাস(বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি)
৬। এ,জে,এফ,বি (আর্টিস্ট-জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ)
৭। মহানগরী
৮। একতা
৯। বিনোদন ধারা পারফরমেন্স পুরস্কার
১০। মাওলানা ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার সহ আরও অসংখ্য পুরস্কার

এছাড়াও শফিউল আলম বাবু বেশ কিছু টেলিভিশন বিজ্ঞাপনও করেছেন।
উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞাপনগুলো হলঃ
১। ওয়াটার ফিল্টারিং সিস্টেম
২। গুডমর্নিং রেজর
৩। সসেজ
৪। সুরেশ সরিষার তেল
৫। মাইওয়ান এয়ার কন্ডিশন
৬। কংঙ্কা টিভি
৭। বিদ্যুৎ সার্প ব্লেড
৮। ক্যান্ডি চকলেট
সাংস্কৃতিক আরও অন্যান্য কর্মকান্ডেও বাবু জড়িত ছিলেন এবং আছেন, যেমন, মাইম (মুখাভিনয়), পাপেট, আবৃতি প্রভৃতি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডেও তিনি প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন।

পারিবারিক পরিমন্ডলঃ
পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শফিউল আলম বাবু সবার বড়। তার শৈশব ও কৈশর কেটেছে চাঁদপুরে। বাবু এক পুত্র (অন্তিক) এবং এক কন্যা (অর্পা) সন্তানের জনক। তার স্ত্রী নাবিলা আলম পলিন, তিনিও একজন অভিনয় শিল্পী। বাবুর ছেলে, ঈশরাক আফরিন অন্তিক বর্তমানে একজন অভিনেতা ও ছাত্র। তার মেয়ের নাম মেলিতা মেহজাবিন অর্পা, সে একজন শিশু মডেল ও ছাত্রী।
এক কথায় শফিউল আলম বাবু নিজেকে একজন সফল অভিনেতা, উপস্থাপক এবং মডেল হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বাবু এমন একজন মানুষ, যার প্রত্যেকটি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সমান দক্ষতার পরিচিতি আমরা পেয়েছি।
আপডেটের তারিখঃ ২৩ এপ্রিল, ২০১৩