অভিনয় গুণে বেশ আলোচনায় রয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের নবাগত নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। ২০১৪ সালের মাঝা মাঝিতে লাভ স্টেশন সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর চিনি বিবি শিরোনামের আরও একটি সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া সম্প্রতি ভালোবাসার রাজকন্যা , ভালোবেসে ছুঁয়ে দিলাম শিরোনামের দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন মিষ্টি।
বাবা জিএম হোসাইন পেশায় শিক্ষক আর মা শাহ পারভীন আখতার একজন সমাজসেবিকা। দু’জনই গান পছন্দ করতেন। তাই তাদের একমাত্র মেয়ে জান্নাতুল ফিরদাউস মিষ্টি ছোটবেলা থেকেই নাচ-গানের চর্চা করতেন। গানের পাশাপাশি কৈশেরে ছবি আঁকাও শিখেছেন তিনি।
তবে বেড়ে ওঠার সঙ্গে পাল্টে যেতে পারে শখ, ইচ্ছে ও ভবিষৎ পরিকল্পনা। তেমনটাই ঘটেছে এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা জান্নাত মিষ্টির বেলায়। ধীরে ধীরে তিনি চলচ্চিত্রাঙ্গনের পরিচিত মুখ হয়ে উঠছেন।
ঢাকায় আসার পরই বেশকিছু টিভি নাটকে অভিনয় করতে দেখা গেছে মিষ্টিকে। গত বছর তার অভিনীত প্রথম নাটক ‘দিনরাত্রির মানুষ’ মাছরাঙা টিভিতে প্রচারিত হয়। এরপর পড়াশোনা ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকে কাজ করেন তুহিন অবন্তর ‘স্বর্ণলক্ষ্মী’, ফয়সাল মাহমুদের ‘এক্সিডেন্ট’, আমজাদ হোসেনের ‘জব্বার আলীর দিনকাল’ এবং সজল আহমেদের ‘বৃষ্টি থামার পর’, ‘ভেজা মেঘের স্বপ্নগুলো’ নাটকে।
চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন তিনি। সর্বপ্রথম ‘ভেনাস’ টিভির একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। এরপর ‘সুরেশ সরিষা’ তেল’সহ বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে কাজ করা হয়েছে।
খুলনা শহরে এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে ২০১০ সালে ঢাকায় আসেন মিষ্টি। ভর্তি হন রাজধানীর মালিবাগে সাফেনা মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কলেজে। সেখানেই দ্বিতীয় বর্ষে ডেন্টাল বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। অভিনয়ের বাইরে মিষ্টির নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে। নাম ‘কুঁড়েঘর পিকচার্স’। এখান থেকে বিভিন্ন নাটক ও বিজ্ঞাপন নির্মাণ করা হয়।