২০০৩ সালে 'ও' লেভেল শেষ করার পরপরই 'ইউ গট দ্য লুক' প্রতিযোগিতায় নাম লেখিয়ে সেরা পাঁচজনের একজন হয়েছিলেন রংপুরের গাইবান্ধার মেয়ে সোনিয়া। স্টিল টিভিসি দিয়ে মিডিয়াতে পদার্পণ করেন তিনি। ২০০৫ সালে প্রথম টলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন সোনিয়া। গিয়াস উদ্দীন সেলিম পরিচালিত ‘প্রেমে পড়ার গল্প’ নাটকটি প্রচার হয়েছিলো এনটিভিতে।
বিজ্ঞাপনে মডেলিং এবং নাটকে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। তন্ময় তানসেনের নির্দেশনায় সোনিয়া 'লর্ড বলপেন'র বিজ্ঞাপনে প্রথম মডেল হন। তাছাড়া গিয়াসউদ্দিন সেলিমের নির্দেশনায় 'প্রেমে পড়ার গল্প' নাটকে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এ নাটকে তার সহশিল্পী ছিলেন ইন্তেখাব দিনার ও জয়া আহসান। এরপর তিনি একে একে অভিনয় করেন তাহের শিপনের 'কাছে দূরে', মেজবাউর রহমান সুমনের 'চান্দের গাড়ি', আদনান আল রাজীবের 'উচ্চতর পদার্থ বিজ্ঞান', মাহমুদের 'হ্যাঁ/না'সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় নাটকে। তাছাড়া তিনি ইফতেখার আহমেদ ফাহমির পরিচালনায় 'এসো ভুল করি' নাটকে মাবরুর রশিদ বান্নার বিপরীতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন।
২০১০ সালে সর্বশেষ তানিয়া আহমেদের পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক 'এ-টিম'-এ কাজ করেন সোনিয়া। এরপর নিউ ক্যাসলের 'নর্থাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি' থেকে আইন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করতে লন্ডনে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে ব্রডকাস্টিং চ্যানেল 'স্কাই'তে দুবছর চাকরিও করেন। ২০১৪ সালের এপ্রিলে দেশে ফিরে ঈদের কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন সোনিয়া। এর মধ্যে হুমায়ুন আহমেদের গল্প অবলম্বনে মেহের আফরোজ শাওনের পরিচালনায় ‘বিভ্রম’, হৃদি হকের পরিচালনায় ‘চক্রব্যুহ’, আদনান আল রাজি পরিচালিত ‘মিডল ক্লাস সেন্টিমেন্ট’, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘আই এম এ ডগ’ নাটকে অভিনয় করে প্রশংসিত হন তিনি।
‘ইউটার্ন’ ও ‘রাত্রির যাত্রী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর প্রথমবারের মতো পুরোপুরি বাণিজ্যিক ঘরানার চলচ্চিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তার। মার্চে শুরু হচ্ছে সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায় নতুন চলচ্চিত্র ‘অবলা নারী’। যার ইংরেজী নাম ওয়াও বেবী ওয়াও। এখানে প্রধান চরিত্রে কাজ করার কথা ছিলো অভিনেত্রী সোনিয়া হোসেনের। তবে মহরতে যোগদানের পরও তিনি নানা কারণে এ ছবিতে আর কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন।