বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের মুকুটহীন সম্রাজ্ঞী শাবানা। সাবলীল অভিনয়ের কারণে অতি অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান। দর্শক পর্দায় খাটিঁ বাঙ্গালী রমণীর ছায়া খুঁজে পায় অভিনেত্রী শাবানার অভিনয়ের মধ্যে। শাবানা নায়িকা চরিত্রে যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ঠিক তেমন মা বা ভাবীর চরিত্রে অভিনয় করে সমান দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন।
জন্ম
শাবানা ১৫ জুন’ ১৯৫২ সালে ঢাকার গেন্ডারিয়াতে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর প্রকৃত নাম আফরোজা রত্না।
পারিবারিক জীবন
-
বাবা ফয়েজ চৌধুরী একজন টাইপিস্ট এবং মা ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন গৃহিনী।
-
১৯৭৩ সালে শাবানা ওয়াহিদ সাদিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
-
২০০০ সাল থেকে তিনি স্বামী সন্তানদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।
পড়াশোনা
-
শাবানা গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে ভর্তি হলেও মাত্র ৯ বছর বয়সে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ইতি ঘটে।
অভিনয় জীবন
-
১৯৬৭ সালে চকোরী চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে আগমন ঘটে শাবানার।
-
শাবানা প্রথম জীবনে উর্দু ছবিই বেশি করতেন।
-
তবে তিনি ১৯৬২ সালে ‘নতুন সুর’ ছবিতে প্রথম ছোট্ট মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ১৯৬৩ সালে তিনি উর্দু ‘তালাশ’ ছবিতে নাচের দৃশ্যে অংশ নেন। এরপর তারপর বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি এক্সট্রা হিসেবে কাজ করেন।
-
শাবানার প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এস এস প্রোডাকশন।
-
শহর বা গ্রামীণ তরুণী, বধূ, মাতা এবং ভাবীর চরিত্রে দক্ষতার সাথে অভিনয় করে গেছেন শাবানা।
-
১৯৯৭ সালে শাবানা হঠাৎ করেই চলচ্চিত্র-অঙ্গন থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর তিনি আর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি।
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র
-
বেগম রোকেয়া
-
ঝড় তুফান
-
বানজারান
-
রাজনন্দিনী
-
জননী
-
সখি তুমি কার
-
দুই পয়সার আলতা
-
নাজমা
-
ভাত দে
-
অপেক্ষা
-
মরণের পরে
-
অচেনা
-
রাঙাভাবী
-
গরীবের বউ
-
অবুজ মন
-
মধু মিলন
-
চকোরী
-
স্বামী কেন আসামী
-
মাটির ঘর
-
রাজলক্ষী-শ্রীকান্ত
-
লাল কাজল
-
দস্যু রাণী
-
নুপুর
পুরস্কার
-
শাবানা মোট ১০ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৭, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৭,১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯৩ এবং ১৯৯৪ সাল।
-
১৯৯১ সালে প্রযোজক সমিতি পুরস্কার
-
১৯৮২ ও ১৯৮৭ সালে বাচসাস পুরস্কার
-
১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে আর্ট ফোরাম পুরস্কার
-
১৯৮৭ সালে নাট্যসভা পুরস্কার
-
১৯৮৭ সালে কামরুল হাসান পুরস্কার
-
১৯৮২ সালে নাট্য নিকেতন পুরস্কার
-
১৯৮৫ সালে ললিতকলা একাডেমী পুরস্কার
-
১৯৮৪ সালে সায়েন্স ক্লাব পুরস্কার
-
১৯৮৯ সালে কথক একাডেমী পুরস্কার