বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়নের কামার গ্রামের ভোটাররা ভোট দেওয়ার অঙ্গিকার করায় রাস্তায় ইট বিছিয়েছিলেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। কিন্তু ভোটে হেরে যাওয়ার দু'দিনের মাথায় ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে সেই রাস্তার ইট তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার ইউপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ ফকির এ কাজটি করেছেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাস্তার ইট তুলে নেওয়ার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কামারগ্রামে ঢুকতেই রাস্তায় বিছানো ইট তুলে নিচ্ছে শ্রমিকরা। তুলে নেওয়া ইট ট্রাকে ভরানো হচ্ছে। আমজাদ হোসেনের বাড়ি থেকে শহীদুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত ইট বিছানো ছিল। ইট বিছানো রাস্তাটি প্রায় ২৫০ মিটার দৈর্ঘ্য।
গ্রামের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘গ্রামে ঢোকার রাস্তাটির মাঝখানে কাঁচা ছিল। সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু সাঈদ দু’মাস আগে নিজের টাকা খরচ করে ইট বিছিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনের সময় আবু সাঈদ নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন গ্রামের ভোটারদের কাছে। কিন্তু ভোটে হেরে যাওয়ার পর তিনি রাস্তায় বিছানো ইট তুলে নিচ্ছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ ফকিরের কর্মী গ্রামের ভোটার আলমগীর হোসেন বলেন, সাঈদ ভাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবার পরই নিজের টাকা দিয়ে ইট বিছিয়ে দেন। এতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। গ্রামে ৯৫৯ জন ভোটার আছে। এতো বড় একটা উপকার করার জন্য ভোটারদের উচিত ছিল তাকে ভোট দেওয়া। কিন্তু গ্রামের লোকজন ভোট না দেওয়ায় আমরা নিজ থেকেই ইট তুলে দিচ্ছি তাঁকে।