মুম্বাইয়ের আলেক্সান্দ্রা সিনেমা হলের পাশের রাস্তা দিয়ে সন্তানদের নিয়ে যেতে চাইতো না অভিভাবকরা। দুই দশক আগেও এই সিনেমা হলে দেখানো হতো হলিউডের বিখ্যাত সব সিনেমা। কিন্তু হঠাৎ এই দৃশ্যপট পাল্টে যেতে থাকে। ২০০০ সালের কথা। ওই সিনেমা হলটিতে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য থার্ড গ্রেডের চলচ্চিত্র চলতো। অশ্লীলতায় ভরপুর সব সিনেমার প্রদর্শনী হতো এই হলে।
এমনও হতো অনেক বাবা-মা সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসের চালককে অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতো; যাতে নোংরা পোস্টার সন্তানদের নজরে না পড়ে।
তিন বছর আগে কর্তৃপক্ষ মুম্বাইয়ের এই সিনেমা হলকে মসজিদ কাম ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে কার্যক্রম শুরু করে। ভারতের এক দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ থেকে ওই সিনেমা হলে ডলবি ডিজিটাল স্পিকারে আইটেম গানের শব্দ পাওয়া যায় না। আযান দেওয়া হয় এই স্পিকারে। শুধু তাই নয়, সিনেমা হল ভেঙে বানানো মসজিদে এখন নামাযের জন্য আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া দিনে পাঁচবার মসজিদের ইমাম কোরআন তিলাওয়াত করেন।
সিনেমা হল থেকে মসজিদে রূপান্তর ঘটে ২০১১ সালে। দক্ষিণ মুম্বাই ভিত্তিক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী রফিক দুধওয়ালা ১৫ হাজার বর্গফুট কয়েক কোটি টাকায় কিনেন। পরে দ্বীনিয়াত নামের একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে ওই সম্পত্তি দান করেন তিনি। ওই এনজিওটি ভারতে উর্দু ও আরবি ভাষায় বই প্রকাশ ও বিক্রি করে। মুম্বাইয়ের সেন্ট্রাল নাগাদা জংশনের কাছে মহারাষ্ট্র কলেজের পাশে বিশাল এই মসজিদের অবস্থান।