আমরা অনেকেই হয়ত জানি না—মানুষ ছাড়াও অন্য অনেক প্রাণীই একসম্পর্কে বিশ্বাসী। অনেকটা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মতো করে তারাও একজন-মাত্র জীবনসঙ্গী নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসে। একসম্পর্কে বিশ্বাসী প্রাণীদের মধ্যে কারণবশত ছাড়াছাড়ির ঘটনাও ঘটে। ঠিক যেমন মানুষেরও বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। আর তখন আপন করে নিতে হয় নতুন কোনো সঙ্গীকে। এবারের আয়োজন এমনই ১২ একগামী প্রাণীদের নিয়ে।
উল্লুক
মানুষের মতো উল্লুকরাও জীবনে একজন সঙ্গীকেই বেছে নেয়। তারা সুসংবদ্ধ পরিবার ও জুটিবন্ধনে বিশ্বাসী। উল্লুকদের মধ্যে নারী ও পুরুষ—সবার আকার এক। সঙ্গীরা একে অপরের পরিচর্যা করে সময় কাটাতে ভালোবাসে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীর মধ্যে একজন কখনো কখনো বিপথগামী হয় ও অপরকে ছেড়ে দেয়। এর অর্থ তাদের ধরন অনেকাংশেই মানুষের মতো। আমরা যতটা ভাবি তার চেয়েও অনেক বেশি মিল!
নেকড়ে
নেকড়েরাও সারাজীবনের জন্য একজন সঙ্গীকেই বেছে নেয়। নেকড়ে দম্পতি একে অপরের প্রতি অনেক বেশি বিশ্বস্ত ও অনুগত। তবে নেকড়ে বাবা-মা’র মধ্যকার সম্পর্ক দৃঢ় হলেও তাদের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কিন্তু পারিবারিক কোনো সমঝোতা নেই। নেকড়ে ছেলে-মেয়েরা পরস্পরের প্রতি হিংস্রভাবাপন্ন।
রাজহাঁস
রাজহাঁস দম্পতি বরাবরই রোমান্টিক। পুরুষ রাজহাঁসেরা বাসা তৈরি ও বাচ্চা ফোটানোতে নারী রাঁজহাসকে সাহায্য করে। যদিও কখনো কখনো পুরুষ রাজহাঁসেরা অন্য নারী হাঁসের সঙ্গে জুটি বাঁধে ও বাচ্চা ফোটায়। তবে তা সাময়িক। খুব শীঘ্রই তারা সত্যিকারের সঙ্গীর কাছে ফিরে আসে।
পেঙ্গুইন
পেঙ্গুইনদের বেশিরভাগই সারাজীবনের জন্য একজনকেই বেছে নেয়। ম্যাজেলেনিক, জেন্টু ও রয়েল পেঙ্গুইন একগামী পেঙ্গুইনের প্রজাতি। এম্পেরর পেঙ্গুইন এক একটি মৌসুমে একেকজন জীবনসঙ্গীর সঙ্গে জুটি বাঁধে।
বাল্ড ঈগল
দীর্ঘ দূরত্বে থেকে এই সম্পর্ক চলে। শীত মৌসুমে ঈগল একাই উড়ে বেড়ায়, এক স্থান থেকে অন্যস্থানে চলে যায়। তবে প্রতি প্রজননকালে একজন, অর্থাৎ সেই পুরনো সঙ্গীর সাথেই মিলিত হয়। এভাবে তারা অন্তত ২০ বছর একজন সঙ্গীর সঙ্গেই থাকে।