ইসলামিক স্টেটের (আইএস) করা শরিয়া আদালতে কাজ করেন হামাদ আবদেল হাদি। দাঁড়িয়ে ছিলেন একটি হাসপাতালের বাইরে। হঠাৎ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এরপর একইভাবে গত ১৯ জানুয়ারি আইএসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা আবু মোহাম্মদ দেরনাউই নিজ বাসার সামনে নিহত হন। শীর্ষ নেতাদের হঠাৎ মৃত্যুতে কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়ে আইএস। কেউ একজন গোপনে কাজগুলো করছে এটা বুঝে গেছে আইএস-কর্মীরা। সাথে সাথেই নিজেদের মধ্যে ধরপাকড় এমনকি সন্দেহজনক ব্যক্তিদের শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও গত ২৩ জানুয়ারি মসজিদ থেকে ফেরার পথে গুলি খেলেন আবদুল্লাহ হামাদ আল আনসারি। তিনি আইএসের শীর্ষ পর্যায়ের একজন কমান্ডার। মাত্র ১০ দিনে আইএসের তিন শীর্ষ ব্যক্তি নিহত হলেন হঠাৎই। আর হত্যাকারী এখনো আইএসের কাছে ‘রহস্যজনক’। ঘটনাস্থল থেকে বেশ দূরে অজ্ঞাত কোন জায়গা থেকে গুলি করছেন সেই বন্দুকধারী। গত বৃহস্পতিবার দ্যা টেলিগ্রাফ এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে ওই রহস্যজনকে বলা হচ্ছে ‘ভৌতিক স্নাইপার’ হিসেবে। ঘাতক পুরুষ না নারী, দেশ কোথায় কিছুই জানতে পারছে না আইএস। এতটুকু বুঝতে পেরেছে, হিট লিস্ট ধরে ধরে এগোচ্ছে ওই ‘স্নাইপার’। প্রতিবেদনে বিভিন্ন জনের অনুমান তুলে ধরা হয়েছে ‘স্নাইপার’ সম্পর্কে। কেউ বলছেন, ব্যক্তিটি একজন পুরুষ যোদ্ধা। লিবিয়ার মিসরাতার বাসিন্দা হতে পারে সে। হয়তো সে-ই আইএসের কাছ থেকে নিজের মাতৃভূমি রক্ষা করতে চায়। আবার কেউ বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর কেউ হতে পারে ওই ‘স্নাইপার।’