মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিজয়ের ৪৪ তম বছর উদযাপন করবে বাংলাদেশ। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই দেশ তাদের সকলের প্রতি অনলাইন ঢাকা গাইডের পক্ষ থেকে রইলো গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এই পেজটিতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের কিছু চিত্র ও ভিডিও এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

শহীদ ৭ বীরশ্রেষ্ঠ


বীরশ্রেষ্ঠ আবদুর রউফ ও তার সমাধিস্থল। রাঙ্গামাটির রিজার্ভ বাজারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফের সমাধি সৌধটি অবস্থিত।
সংক্ষিপ্ত জীবনী:
নাম : মুন্সি আব্দুর রউফ
জন্ম : ১ মে, ১৯৪৩।
জন্মস্থান : ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার সালামতপুর গ্রামে।
পিতা : মুন্সি মেহেদী হোসেন।
মা : মোছাঃ মুকিদুন্নেছা।
|
কর্মস্থল : ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস।
যোগদান : ৮ মে ১৯৬৩ সাল।
পদবী : ল্যান্স নায়েক।
মুক্তিযুদ্ধে অংশরত সেক্টর : ১ নং সেক্টর।
মৃত্যু : ২০ এপ্রিল, ১৯৭১ সাল।
|


বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ও তার সমাধি। মিরপুর বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে সমাহিত করা হয়।
সংক্ষিপ্ত জীবনী :
নাম: মোহাম্মদ হামিদুর রহমান
জন্ম : ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩
জন্মস্থান : ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার খোর্দ খালিশপুর গ্রামে।
পিতা : আক্কাস আলী।
মা : কায়দাছুন্নেসা।
|
কর্মস্থল : সেনাবাহিনী।
যোগদান : ১৯৭০ সাল।
পদবী : সিপাহী।
মুক্তিযুদ্ধে অংশরত সেক্টর : ৪নং সেক্টর।
মৃত্যু : ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১ সাল।
|


বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গঙ্গাসাগরে নির্মিত বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধিসৌধ।
সংক্ষিপ্ত জীবনী :
নাম: মোস্তফা কামাল
জন্ম : ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৭
জন্মস্থান : ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজিপুর গ্রামে।
পিতা : হাবিবুর রহমান মণ্ডল।
মা : মোসাম্মত্ মালেকা বেগম। |
কর্মস্থল : সেনাবাহিনী।
যোগদান : ১৯৬৮ সাল।
পদবী : সিপাহী।
মুক্তিযুদ্ধে অংশরত সেক্টর : ৮ নং সেক্টর।
মৃত্যু : ৮ এপ্রিল, ১৯৭১ সাল।
|


বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও তার সমাধিস্থল। শাহাদতের ৩৫ বছর পর ২৪শে জুন ২০০৬ মতিউরের দেহাবশেষ পাকিস্তান থেকে দেশে এনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবর স্থানে পুনঃসমাহিত করা হয়।


ডানের ছবিটি ১৯৬৮ সালের শেষের দিকে স্ত্রীর সাথে মতিউর রহমান। বায়ের ছবিটি ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে শেষ পারিবারিক ছবি স্ত্রী ও দুই মেয়ের সাথে। সাথে জাহেদা নামে একটি ছোট মেয়েকে দেখা যাচ্ছে, তাকে মেয়েদের খেলার সাথী হিসেবে করাচি নিয়ে যান মতিউর। জাহেদাকে সাথে নিয়ে যাওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এতে মতিউরের মেয়েরা বাংলা শিখবে।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
নাম : মতিউর রহমান
জন্ম : ১৯৪১ সালে ঢাকা শহরের আগা সাদেক রোডের ১০৯ নম্বর বাড়িতে জন্ম নেন মতিউর রহমান। তারিখ ২৯ অক্টোবর, বুধবার, মধ্যরাত্রি।
মা : সৈয়দা মোবারুকুন্নেসা।
বাবা : মৌলবি আব্দুস সামাদ।
মৃত্যু : ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট।
|
শিক্ষা ও কর্মজীবন : ১৯৫২ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর ১৯৫৬ সালের ৫ই এপ্রিল সারগোদা পি. এ. এফ একাডেমি স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৬০ সালের মে মাসে মতিউর কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে মেট্রিক পাস করলেন ডিস্টিংশনসহ। এর পর দিলেন ISSB exam। এরপর ১৯৬১ সালের আগস্টের ১৫ তারিখে তিনি রিসালপুরে পাকিস্তানী বিমান বাহিনীর একাডেমিতে ফ্লাইট ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন জিডি পাইলট কোর্সে। পাকিস্তানীরা সবসময়ই তাঁকে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছে।
|


বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ ও যশোরের শার্শার কাশীপুরে নির্মিত বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধিসৌধ।
সংক্ষিপ্ত জীবনী :
নাম: নূর মোহাম্মদ শেখ
জন্ম : ২৬ এপ্রিল, ১৯৩৬
জন্মস্থান : নড়াইল জেলার মহেষখোলা গ্রামে।
পিতা : মোঃ আমানত শেখ।
মা : মোছাঃ জেন্নাতুন্নেসা।
স্ত্রী : তোতাল বিবি।
|
কর্মস্থল : ইপিআর।
যোগদান : ১৯৫৯ সাল।
পদবী : ল্যান্স নায়েক।
মুক্তিযুদ্ধে অংশরত সেক্টর : ৮নং সেক্টর।
মৃত্যু : ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ সাল।
|


বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও খুলনার রূপসার তীরে বাগমারা গ্রামে নির্মিত বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধিসৌধ।
সংক্ষিপ্ত জীবনী :
নাম: মোহাম্মদ রুহুল আমিন
জন্ম : ১৯৩৪ সাল
জন্মস্থান : নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার বাগপাদুরা গ্রামে।
পিতা : মোঃ আজহার পাটোয়ারী।
মা : মোছাঃ জুলেখা খাতুন।
|
কর্মস্থল : নৌবাহিনী।
পদবী : স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার।
মুক্তিযুদ্ধে অংশরত সেক্টর : ১০নং সেক্টর।
মৃত্যু : ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সাল।
|


বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ প্রাঙ্গনে অবস্থিত সমাধি।
সংক্ষিপ্ত জীবনী :
নাম: মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
জন্ম : ১৯৪৯
জন্মস্থান : বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার রহিমগঞ্জ গ্রামে।
পিতা : আব্দুল মোতালেব হাওলাদার।
মা : মোসাম্মাত্ সাফিয়া বেগম।
|
কর্মস্থল : সেনাবাহিনী।
যোগদান : ১৯৬৭ সাল।
পদবী : ক্যাপ্টেন।
মুক্তিযুদ্ধে অংশরত সেক্টর : ৭নং সেক্টর।
মৃত্যু : ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সাল।
|

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন


১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালো রাতের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য




স্বাধীনতা লাভের পিপাসা আন্দোলনে রূপ নেয় বাংলার মানুষের হৃদয়ে
পাকিস্তানীদের নির্যাতনের নির্মম চিত্র
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কিভাবে পাকিস্তানী সৈন্যরা ঢাকার কাছের এক গ্রামের ৭৫ জন নারী পুরুষ ও শিশুকে বীভৎস ভাবে ধর্ষণ ও হত্যার পর বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়েছে এবং সমস্ত গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। তাদের অপরাধ তারা নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছিল।






বাংলার মাঠে-ঘাটে-জলে-স্থলে সর্বত্র মুক্তিবাহিনীরা গড়ে তোলে দুর্বার প্রতিরোধ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যার ভিডিও চিত্র
দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠের মেধাবীদের নিশ্বেষ করতে পারলেই একটা জাতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে ফেলা যাবে। সেই উদ্দেশ্য সফল করতে পাক বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্র কর্মচারীদের উপর চালায় নির্মম হত্যা যজ্ঞ। সারিবদ্ধ ভাবে দাড় করিয়ে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে নর পিচাশরা।


একদিকে চলে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধ, আরেক দিকে ঘরবাড়ি হারিয়ে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে মানুষ। সেই সাথে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হন বাংলার মা-বোনেরা


বীর সাহসী নারী ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা রহমান। মাতৃভূমির মুক্তির জন্য সামরিক চাকরি উপেক্ষা করে রণাঙ্গনে হাজির ছিলেন ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা রহমান৷ আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় নেতৃত্ব দেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়৷

১৯৭১ সালে সাময়িকভাবে স্থাপিত বাংলাদেশ হাসপাতাল।

|
ছেলেটার নাম মোহাম্মদ ইমরান। ১৯৭১ সালে ছেলেটি পাঙ্গাসিয়া স্কুলে চতুর্থ শ্রেনীর একজন ছাত্র ছিল।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তার স্কুলকে আর্মি ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে। দেশপ্রেমিক এই ছোট্ট বালকের মনে তা গভীরভাবে নাড়া দেয়।সে একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে হামাগুড়ি দিয়ে তার স্কুলে যায় এবং পাকিদের উপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করে আবার ফিরে আসে।
|


পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার নির্মম দৃশ্য



বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ


১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্বসমর্পণের প্রাক্কালে অস্ত্র সমর্পণের দৃশ্য ও সৈন্যদের তালিকা।

যুদ্ধের সময় সামরিক ইউনিট এবং সেনাদলের গতিবিধির নিদর্শন

ইউকিপিডিয়ায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিসংখ্যান




মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্মৃতিসৌধের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকৌশলী মইনুল হোসেনের নকশা মোতাবেক ১৯৮২ সালের আগষ্ট মাসে স্মৃতিসৌধের কাজ শুরু হয়। প্রায় ৮৪ একর জমির উপর স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিদেশীদের অবদান