জোকস - ০১ : নাম মনে পড়ছে না
মদ্য পান করতে করতে চিৎকার করে কাঁদছিল জন।
একজন জিজ্ঞেস করল, ‘কী, কাঁদছ কেন?’
জন বলল, ‘যে মেয়েটাকে ভোলার জন্য পান করছি, তার নাম মনে পড়ছে না!’
জোকস - ০২ : ঠান্ডা, না গরম?
হরিপদ বেজায় কৃপণ। একদিন তাঁর বাড়িতে হাজির হলেন তাঁর বন্ধু শশধর।
শশধর: কিরে হরিপদ, তোর বাড়িতে এলাম, কিছু খাওয়াবি না?
হরিপদ: কী খেতে চাস, বল। ঠান্ডা, না গরম?
শশধর: নিয়ে আয়। ঠান্ডা গরম দুটাই খাব।
হরিপদ হাঁক ছাড়লেন, ‘কই রে জগাই, ফ্রিজ থেকে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি আর চুলা থেকে এক গ্লাস গরম পানি নিয়ে আয়!’
জোকস - ০৩ : ফেলের কারণ
মুখ ঝামটা মেরে পাপিয়া বেগম তাঁর ছেলে পল্টুকে বললেন, ‘নালায়েক! তুই আবার ফেল করেছিস? পাশের বাসার রুমকীকে দেখ, কত্ত ভালো রেজাল্ট করেছে ও!’
পল্টু: ওকে আর নতুন করে কী দেখব? পরীক্ষার হলে বসেও ওকে দেখছিলাম বলেই তো আজ এই দশা!
জোকস - ০৪ : গাড়ি তো ডিম দেয় না
নিজের দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়িটার পাশে বসে বিলাপ করে কাঁদছিল সর্দারজি, ‘আমার মুরগিটার কী হলো গো! আমার সুন্দর লাল মুরগি!’
এক পথচারী দেখে থমকে গেলেন। বললেন, ‘সে কী সর্দারজি! আপনার এত দামি গাড়ির এই হাল হলো কী করে?’
‘আর বলবেন না, গাড়িটা রাস্তার পাশে রেখে আমি গিয়েছিলাম একটু দোকানে। কথা নেই বার্তা নেই, এক ট্রাকড্রাইভার তার বেঢপ ট্রাকটা আমার গাড়ির ওপর উঠিয়ে দিল। আর গাড়ির পেছনে থাকা আমার মুরগিটা গেল মরে। ও আমার সুন্দর লাল মুরগি! কী হবে আমার!’ বলে আবার বিলাপ করে কাঁদতে লাগলেন সর্দারজি।
পথচারী ভ্রু কুঁচকে বললেন, ‘এত দামি গাড়িটা একেবারে ভেঙেচুরে গেল, আর আপনি কিনা মুরগির জন্য কাঁদছেন?’
সর্দারজি বললেন, ‘আরে বোকা, গাড়ি দিয়ে কী হবে? গাড়ি তো আর প্রতিদিন দুটা করে ডিম দেয় না!’
জোকস - ০৫ : চোরের ঘড়ি কেনা
ঘড়ির দোকান থেকে একটা দামি ঘড়ি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ল রুস্তম। বেদম প্রহারের একপর্যায়ে সে দোকানের মালিককে বলল, ‘ভাই, আমি ঘড়িটা কিনে নিই। ঝামেলা আপনার আর আমার মধ্যে মিটে যাক।’
দোকানদার ভাবলেন, প্রস্তাবটা খারাপ না। উপস্থিত জনতা রুস্তমকে ছেড়ে দিল। চোরকে সঙ্গে নিয়ে দোকানে ঢুকলেন দোকানদার। ‘ক্যাশ মেমো’ লিখতে ব্যস্ত হলেন তিনি।
গা ঝাড়া দিয়ে বেশ ভাবের সঙ্গে বলল এবার রুস্তম, ‘ইয়ে মানে, কিছু মনে করবেন না দাদা। আমি যা খরচ করতে চেয়েছিলাম, এই ঘড়ির দামটা তার চেয়ে একটু বেশি। আমাকে বরং কম দামি একটা ঘড়ি দেখান।’