সারাদিন রোজা পালনের পর ইফতারির পর এক কাপ চা নিমেষেই ভুলিয়ে দেয় সারাদিনের ক্লান্তি। তবে সেই চা যদি হয় আরও সুস্বাদু তাহলে তো কোনো কথাই নেই। এমনই এক ধরনের চা হচ্ছে পুদিনা পাতার চা। অন্যভাবে বলা যায় গ্রীন মিন্ট টি।
প্রস্তুত প্রণালী:
-
পানি গরম করে নিন। গ্লাসে/কাপে টি-ব্যাগ ঢালুন, পরিমাণ মত চিনি দিন, ডাটা সহ ৮/১০টি পুদিনাপাতা দিন। পানি যখন ফুটে উঠবে তখন গ্লাসে/কাপে গরম পানি ঢালুন। ২ থেকে ৩মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পান করুন। যারা চিনি খান না তাঁরা চিনির বিকল্প DIA SUGAR ব্যবহার করতে পারেন।
-
খুচরা গ্রিন লেভেলে/ রেড লেভেল দিয়ে চা তৈরি করতে হলে কেটলিতে পানি গরম করে নিয়ে পানি ফুটে উঠলে কাপ প্রতি এক চা চামচ হিসাবে পাতা ঢালুন, চিনি ঢালুন, পুদিনাপাতা ঢালুন। মাত্র ২/৩মিনিট রাখুন। বেশিক্ষণ পুদিনা পাতা জ্বালে রাখলে পুদিনার সুবাস হারাবেন বং চা তিক্ত হয়ে পড়বে। তবে কোন ধরণের অসুস্থতার ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করতে চাপাতা ১০ মিনিট পর্যন্ত রাখা যায়, তখন পুদিনা পাতাকে ৭মিনিটের মাথায় পাত্রে ঢালতে হবে।
উপকারিতা:
-
কলেস্ট্ররেল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়।
-
ক্লান্তি নিবারণ হয়।
-
মাথা ব্যথা, শরীরের ব্যথা, পেটের ব্যথার উপশম হয়।
-
ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
-
শরীরের চামড়াকে টান টান সতেজ রাখে মানে বয়সের কারণ চমাড়াকে কুঁচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। রক্তনালীকে শীতল করে ব্লাড প্রেশার কম রাখতে সাহায্য করে।
-
চায়ের পাতায় আছে প্রচুর পরিমাণ পলিফেনন অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং পুদিনাপাতেও প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া চা পাতায় রয়েছে ফ্লোরাইড, যা দাঁতের ক্ষয়রোগ করে। তাই দাঁতের ক্ষয়রোধ সহ মাড়ি ও দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এড়াতে দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচ কাপ গ্রিন টি পান করুন।
-
ঠাণ্ডা লাগা বা শীতকালীন ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার জন্য দায়ী এডিনো ভাইরাস-এর বিস্তার রোধে সবুজ চায়ের ইজিসিজি নামক এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ সাহায্য করে। গ্রিন টি যত বেশি গাঢ় হবে (আমরা যাকে বলি কড়া চা) তত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হবে। বিশেষজ্ঞগণ আরো দেখেছেন গ্রিন টি গরম পানিতে অন্তত ১০ মিনিট রেখে দিলে প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধক রাসায়নিক যৌগ বেশি নিঃসৃত হয়।
কফ-কাশিতে আমরা সাধারণত এক্সপেক্টোরেন্ট জাতীয় ওষুধ খেয়ে থাকি। এক্সপেক্টোরেন্টের কাজ হলো গলা থেকে কফ বের করে দেয়া। কিন্তু এর একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। এসব ওষুধ খেলে ঘুম ঘুম ভাব হয়। তাই এর বিকল্প হিসেবে আপনি গ্রিন মিন্ট টির সাহায্য নিতে পারেন।
-
খাবার কারণেখাবার কারণে পেট গরম হয়ে গেলে পেটের ভিতরকে ঠাণ্ডা করতে সহায়ক হবে।
-
কৃমির অভয়ারণ্য প্রতিরোধ কৃমির অভয়ারণ্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
-
জ্বর তাপ, অসুখে ভোগে মুখের স্বাদ কমে গেলে স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করবে।