আরো দেখুন: নিউজিল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসা ● নিউজিল্যান্ডের ট্যুরিস্ট ভিসা ● বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ডের হাই কমিশন
● নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশের হাই কমিশন ● নিউজিল্যান্ডের কথা ● নিউজিল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষা
নিউজিল্যান্ড হলো অস্ট্রেলিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের একটি উন্নত দেশ। সমগ্র বিশ্বের কাছেই নিউজিল্যান্ড একটি শান্তিপ্রিয় দেশ বা স্বর্গীয় রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। মূলত নিউজিল্যান্ড অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দ্বীপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- স্টুয়ার্ট দ্বীপ এবং চাথাম দ্বীপ।
নিউজিল্যান্ডের মানুষের জীবনযাত্রার মান যেমন উন্নত, তেমনি তাদের অর্থনৈতিকভাবে তারা বেশ উন্নত। এর প্রধান কারণ- নিউজিল্যান্ডের মতো স্বর্গীয় রাজ্যে সারা বিশ্বের ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভ্রমণ করে থাকে আর এতেই রাষ্ট্রীয়ভাবে তারা অনেকটা লাভবান হয় এবং তাদের পর্যটন স্পটগুলো অনেক সুন্দর ও নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ। পৃথিবীর সর্বাধিক বাসযোগ্য শহর আর পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ড অন্যতম। এখানকার সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা হলো ইংরেজি।
কিভাবে নিউজিল্যান্ড যাবেন:
ওশেনিয়া অঞ্চলের রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিমানে করে যেতে হবে। বিমানে যাওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে নিউজিল্যান্ডের ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার আবেদনটি গ্রান্টেড হলে আপনি নিউজিল্যান্ড ভ্রমণ করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভিসার জন্য আবেদন করা সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ডের অ্যাম্বাসি নেই যে আপনি ভিসার আবেদন করতে পারবেন। ভিসার আবেদন করতে হবে ভারতের নয়া দিল্লিতে অবস্থানরত নিউজিল্যান্ডের অ্যাম্বাসিতে। সেখান থেকে আপনার ভিসার কাগজপত্র গ্রান্টেড হলে আপনি ট্যুরিস্ট ভিসা পাবেন।
ভিসা প্রসেসিং:
সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে আপনি নিউজিল্যান্ডের ট্যুরিস্ট ভিসার অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন। এ ছাড়া আমাদের দেশে নিউজিল্যান্ডের ট্যুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং করে থাকে এমন অনেক এজেন্সি বা কোম্পানি রয়েছে। তাদের মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন। নয়া দিল্লিতে অবস্থিত নিউজিল্যান্ড হাইকমিশনে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা এন্ডোস করার অথরিটি দেওয়া হয়েছে যেখান থেকে আপনি আপনার ভিসার আবেদন করতে পারবেন। আপনার ভিসার মেয়াদ হবে কমপক্ষে ছয় মাস।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
সব ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো বৈধ পাসপোর্ট। এ ছাড়া আরও অনেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের দরকার হয়।
-
আপনার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
-
প্লেনের আসা-যাওয়ার টিকিটের কপি
-
প্রয়োজনীয় ব্যাংক স্টেটমেন্ট
-
ভিসা ফি পেমেন্ট
-
আপনার পেশাদারিত্বের একটি কপি (আপনি যে পেশায় আছেন তার একটি ছাড়পত্র)
-
ব্যবসায়ী হলে টিন কাগজ ও আয়কর কপি
-
এ ছাড়া বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মা-বাবার ছবির সঙ্গে বাচ্চার জন্ম-নিবন্ধন কপি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
নিউজিল্যান্ডে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা:
নিউজিল্যান্ড অন্যতম একটি দ্বীপরাষ্ট্র যেখানে ভ্রমণ-পিয়াসী পর্যটকদের জন্য রয়েছে রাজকীয় সুব্যবস্থা। পর্যটন দেশ হওয়াতে এখানে ভ্রমণ-প্রিয় মানুষের জন্য বিলাসী হোটেল বা রিসোর্টের ব্যবস্থা রয়েছে। থাকার জন্য গ্যালাক্সি হোটেল থেকে শুরু করে সব ধরনের রিসোর্ট পাবেন এবং সব ধরনের খাবারের সুব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। নিউজিল্যান্ডের প্রতিটি স্টেটেই থাকার জন্য হোটেল আর খাবারের রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের কিছু হোটেল ও রিসোর্টের নাম নিচে দেয়া হল –
নিউজিল্যান্ডের হোটেল ও রিসোর্ট সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন –
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড, সাজানো-গোছানো শহর পেরিয়ে বিশাল রাস্তার দুপাশে উঁচু-নিচু টিলা আগ্নেয়গিরির লাভা জমে তৈরি এসব অঞ্চল যা এখন সবুজে সবুজ। পুরো নিউজিল্যান্ডটাই উঁচু-নিচু সবুজ মাঠ আর ক্রিস্টমাস ট্রি দিয়ে সাজানো। আরও আছে সুন্দর বড় বড় গাছের মাঝে ছোট ছোট বাড়ি। এছাড়াও সমুদ্র ভ্রমণেও রয়েছে রোমাঞ্চ। তাসমান সি'তে সমুদ্র যাত্রা অনেকটা বিভীষিকাময়। কারণ সাগরের উত্তাল ঢেউ জাহাজকে দুলিয়ে দুলিয়ে কাঁপিয়ে তোলে। এতে ভ্রমণে যেমন ভয় থাকে তেমনি অ্যাডভেঞ্চারও থাকে অন্যরকম।
মাওরি ভিলেজ, কাঠের শিল্পকলার তৈরি নানা জিনিসপত্র দেখতে পাওয়া যাবে এখানে। এখানে আপনি কাঠের তৈরি হরেক রকমের তৈজসপত্রের ভাণ্ডার পাবেন, যা দেখতে অনেকটা আদিকালের ব্যবহৃত জিনিসের মতো। রোটরুয়াতে অ্যাগ্রোডোম, মিলফোর্ড সাউন্ড, বড় হ্রদের ধার দিয়ে যেতে হয় এখানে। নিউজিল্যান্ডের দীর্ঘতম হ্রদ নাম ওয়ানাকা। এখানে প্রচুর বড় বড় হ্রদ আছে যা পাহাড়ের বরফ থেকে সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর কঠিন-তম গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি আর বছরের বেশির ভাগ সময় বরফে ঢাকা থাকে। ক্রোরোমান্ডেল পেনিনসুলা, অ্যাবেল তাসমান ন্যাশনাল পার্ক, স্কাই টাওয়ার যা টেলি-যোগাযোগের সবচেয়ে বড় টাওয়ারের মতো সুন্দর স্থানও রয়েছে এখানে।
এছাড়া নেপিয়ার, কাইকুরা, রুটোরুয়া আইল্যান্ডও ঘুরে দেখতে পারবেন। ক্রোরোমান্ডেল পেনিনসুলার প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে- হট ওয়াটার বিচ ও অ্যাবেল তাসনাম ন্যাশনাল পার্কে বিভিন্ন ধরনের প্রাণী দেখতে পাবেন।
নিউজিল্যান্ডের কিছু আকর্ষণীয় স্থান সমূহের নাম নিচে দেয়া হল –
নিউজিল্যান্ড ভ্রমণের সময় আপনি আরও কিছু আকর্ষণীয় মুহূর্ত উপভোগ করতে পারেন ফ্লাই ফিশিং, কায়াকিং, বাঙ্গি জাম্পিং, পানির নিচে ড্রাইভিং, স্কাই ড্রাইভিং করে। এছাড়াও গরম পানির বেলুনে চড়ে, স্ক্যানিক ফ্লাইটে ভ্রমণ করে এবং ট্রেনে ভ্রমণ করেও আপনি নিউজিল্যান্ডের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। নিচের লিংকগুলো থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন –