আরও দেখুন: ব্রিটেনের ভিসা ● ব্রিটেনের স্টুডেন্ট ভিসা ● ব্রিটেনের দর্শনীয় স্থানগুলো
ইংল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষা ● ব্রিটিশ কাউন্সিল ● লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি
ব্রিটেনে বাংলাদেশ হাই কমিশন
ইউকে এর সাথে বাংলাদেশের একটি সুদৃঢ় এবং বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে সুশাসন, জীবিকা, বেসরকারী খাত সংস্কার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় মৌলিক পর্যায়ে ইউকে ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা DFID কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান পরিসংখ্যান মতে প্রায় ৫ লাখের উপর বাংলাদেশী মানুষ ইউকেতে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বসবাস করছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাজ্য কাজ করছে। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, ইংরেজী শিক্ষায় বৃটিশ কাউন্সিলের ভূমিকা বাংলাদেশ এবং ইউকের মধ্যকার সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে। Robert Winnington Gibson CMG বৃটিশ হাই কমিশনের কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঠিকানা এবং অবস্থান
খোলা-বন্ধের সময়সূচী
-
রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বৃটিশ হাই কমিশন খোলা থাকে। রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত অফিস সময় হলো সকাল ৮ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার অফিস সময় সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।
-
বৃটিশ পাসপোর্ট শাখাটির অফিস কার্যক্রমের সময়সূচী হলো রবিবার থেকে বুধবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত।
-
কনস্যুলার শাখার অফিস কার্যক্রমের সময়সূচী হলো রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত।
-
টেলিফোনে অনুসন্ধানের জন্য রবিবার থেকে বুধবার সকাল ৯ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত। পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য জানতে প্রয়োজনীয় ফোন নং +44 208 082 4744. (প্রতি মিনিট ৯০ টাকা) {http://ukinbangladesh.fco.gov.uk/en/news/?view=PressR&id=533704882}
-
যেসকল দিনগুলিতে বৃটিশ হাই কমিশন বন্ধ থাকে তা জানতে এখানে ক্লিক করুন। {http://ukinbangladesh.fco.gov.uk/bn/about-us/our-high-commission/011public-holiday}
যুক্তরাজ্যের জন্য ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
ইউকে বর্ডার এজেন্সী সকল ইউকে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এজেন্সীর ভিসা সেবা বানিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত ভিএফএস গ্লোবাল লিমিটেড এর সাথে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে কাজ করে। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সাধারন প্রশ্ন টেলিফোনে করতে পারেন , ভিএফএস ভিসা ইনফরমেশন হে ল্প লাইনে: +০০৮৮ ০৯৬৬৬৭৭৮৮৯৯ (০৮৩০-১৩০০ ঘটিকা এবং ১৪০০-১৬৩০ ঘটিকা এর মধ্যে) । সকল কল স্থানীয় হারে নির্ধারিত হবে । ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এই দুটি লিংকে (০১) ভিএফএস {http://vfs-uk-bd.com/} এবং (০২) ইউকে বর্ডার এজেন্সী {http://www.ukba.homeoffice.gov.uk/countries/bangladesh/?langname=UK%20English}।
ভিসা পেতে পরামর্শ
যুক্তরাজ্যের ভিসার ব্যাপারে যেকোন তথ্য জানতে ইমেইল, ওয়েব এবং টেলিফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। ভিসার পেতে পরামর্শের জন্য কোন প্রকার ফি পরিশোধ করতে হয়না। ভিসা আবেদন করার পূর্বে যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন আইন এবং চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আবেদনকারীকে একটি ইমিগ্রেশন এ্যাডভাইজারের {http://oisc.homeoffice.gov.uk/}শরণাপন্ন হতে হয়। নিম্নে কয়েকটি ইমিগ্রেশন এ্যাডভাইজারের নাম এবং লিংক প্রদান করা হলো:
-
ল সোসাইটি অফ ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস {http://www.lawsociety.org.uk/home.law}
-
ল সোসাইটি অফ স্কটল্যান্ড {http://www.lawscot.org.uk/}
-
ল সোসাইটি অফ আয়ারল্যান্ড {http://www.lawsoc-ni.org/}
-
ইনষ্টিটিউট অফ লিগ্যাল এক্সিকিউটিভস {http://www.ilex.org.uk/}
ভিসা আবেদন
এসএসসি পাস করার পর একজন শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে গিয়ে এ লেভেল করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আবেদন করতে পারেন। আবার এইচএসসি দিয়ে যুক্তরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার আগে একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করে নিতে পারেন। আর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, পিএইচডিসহ বিভিন্ন ডিগ্রির জন্যও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেন।
বিগত ৫ বছরের মধ্যে ইউকে ভ্রমণ করে থাকলে নন স্যাটেলমেন্ট ভিসার জন্য ২ সপ্তাহ পূর্বে আবেদন করতে হয়। অন্যান্য নন সেটেলমেন্ট ভিসার জন্য ১ মাস পূর্বে আবেদন করতে হয়। স্যাটেলমেন্ট ভিসার জন্য ১২ সপ্তাহ পূর্বে আবেদন করতে হয়। আবেদন করার ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে ৯০% নন স্যাটেলমেন্ট আবেদন প্রক্রিয়া করা হয়। আবেদন করার ৩ মাসের (১২ সপ্তাহ) মধ্যে স্যাটেলমেন্ট আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। ইউকে বর্ডার এজেন্সীজ এর পরামর্শ অনুযায়ী ভ্রমণ তারিখের ৫-১০ সপ্তাহের মধ্যে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদন প্রক্রিয়ার সময় সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন ইউকে বর্ডার এজেন্সীজ। {http://www.ukba.homeoffice.gov.uk/countries/bangladesh/processing-times/?langname=UK%20English}
ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ফি
ইউকের কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরপরই একজন শিক্ষার্থী ইউকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে। ইউকেতে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে ব্যাংকে ৩০ লক্ষ টাকা জমা দেখাতে হয়। ন্যূনতম IELTS স্কোর ৫.৫ দেখাতে হয়। সকল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেটের ফটোকপি, পাসপোর্ট, পুলিশ ভেরিফিকেশন, আই ই এল টি এস, ব্যাংক স্টেটম্যান্ট, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যাবতীয় কাগজপত্র এবং দূতাবাস থেকে নেয়া স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন পত্র প্রয়োজন পড়ে। ঢাকায় বিভিন্ন কনসালটেন্সী ফার্মের সার্ভিস চার্জ একেক রকম। স্টুডেন্ট কনসালটেন্সী ফার্মের মাধ্যমে ভিসা প্রসেসিং চার্জ ৫০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারনত যেসকল প্রোগ্রাম অফার করে
যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে শিক্ষার্থীদের ভর্তির কার্যক্রম শুরু করে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা জানুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে নেয়। তবে এর সংখ্যা অনেক কম।
একজন শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে পড়তে চায়, সেটিকে ঘিরে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ডিগ্রি ও কোর্সের সুবিধা আছে। সাধারণ এক বছরের ফাউন্ডেশন কোর্সের পর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট (ব্যাচেলর) ডিগ্রি শেষ করতে তিন বছর লেগে যায়। তারপর মাস্টার্স করতে এক থেকে দুই বছর লাগে। আরও আছে ডক্টরাল ডিগ্রি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীসহ আগ্রহী ব্যক্তিরা বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারেন। এমবিএ করার জন্যও যুক্তরাজ্যে নানা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
ফাউন্ডেশন কোর্সের তথ্য
এ কোর্সটি এক বছর মেয়াদি, যা যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা শুরুর আগে বিদেশি শিক্ষার্থীদের করে নিতে হয়। এইচএসসি অথবা এ লেভেল করার পর ফাউন্ডেশন কোর্সটি করে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়াশোনা শুরু করতে পারবেন। ফাউন্ডেশন কোর্স করার আগে তাঁদের অবশ্যই আইইএলটিএস IELTS করতে হয়। এর ন্যূনতম স্কোর দরকার হয় ৪.৫।
যুক্তরাজ্যে পড়াশুনার খরচ
যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি কোর্সগুলো অপেক্ষাকৃত স্বল্পমেয়াদি। তাই সময় কম লেগে থাকে। ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য সাধারণত ন্যূনতম নয় হাজার পাউন্ড দরকার হয়। তবে মেডিকেল ও ক্লিনিক্যাল সায়েন্সে পড়াশোনা ব্যয়বহুল। এতে ১২ থেকে ১৬ হাজার পাউন্ড লাগে। এমবিএ করতেও সর্বনিম্ন ১২ লাখ টাকা দরকার হয়। এখানে থাকা-খাওয়ার খরচ আলাদা বহন করতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্সের ধরন অনুযায়ী পড়াশোনার খরচ কমবেশি হয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে যোগাযোগ
যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীকে প্রথমে ব্রিটিশ কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে হয়। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি তথ্যভান্ডার হিসেবে কাজ করে। ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যের কোর্সসমূহ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে থাকে। শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজার’ আছেন, যাঁরা বিনা মূল্যে কাউন্সেলিং করে থাকেন। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সব প্রশ্নের উত্তর প্রদান, আবেদনপত্র পূরণ, উপযুক্ত কোর্স ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়াসহ স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন সম্পর্কে উপদেশ দেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের তিনটি অফিস আছে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে। এগুলো হচ্ছে: ব্রিটিশ কাউন্সিল ঢাকা, ৫ ফুলার রোড, ঢাকা, ফোন: ৮৬১৮৯০৫, ফ্যাক্স: ৮৬১৩৩৭৫, ৮৬১৩২৫৫। ব্রিটিশ কাউন্সিল সিলেট, আল-হামরা শপিং সিটি (সপ্তম তলা), জিন্দাবাজার, সিলেট-৩১০০, ফোন: ৮৮০ (৮২১) ৮১৪৯২৫, ফ্যাক্স: ৮৮০ (৮২১) ৮১৪৯২৪। ব্রিটিশ কাউন্সিল চট্টগ্রাম, ৭৭/এ উত্তর নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম, ফোন: ৮৮০ (০) ৩১ ৬৫৭৮৮৪-৬, ফ্যাক্স: ৮৮০ (০) ৩১ ৬৫৭৮৮১। ই-মেইলেও শিক্ষার্থীরা তাঁদের কাউন্সেলিং সুবিধা নিতে পারেন। ওয়েবসাইট: [email protected]
এছাড়া যাঁরা যুক্তরাজ্যে পড়তে যেতে চান অথচ কোনো তথ্যই জানেন না কিংবা ভাসা ভাসা জানেন, তাঁদের মা-বাবা নির্ভরযোগ্য কারও শরণাপন্ন হতে চান, তাঁরা PASS-র সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। PASS হলো Professional Advisory Service for Students। PASS সুবিধা গ্রহণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থী ব্রিটিশ কাউন্সিলের কাছ থেকে যাবতীয় সুবিধা পেতে পারেন। তাঁদের পক্ষে যুক্তরাজ্যের নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় যোগাযোগ করা, প্রয়োজনীয় আবেদন ফরম পূরণ করা ও ভিসা-প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার কাজটি করে দেবেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের অভিজ্ঞ পরামর্শকেরা। PASS-র সুবিধার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসা প্রদানে পরিবর্তিত নীতি
স্টুডেন্ট ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে আরো কঠোর ভিসানীতি অনুসরন করবে দেশটির সরকার। এর আগে যুক্তরাজ্যের অভিবাসনমন্ত্রী নতুন ভিসানীতি চালু করার করেছেন। ফলে পড়াশোনা শেষে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরানোর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের বেশি কেউ যুক্তরাজ্যে অবস্থান করতে চাইলে তাকে ব্রিটিশ বর্ডার এজেন্সির তালিকাভুক্ত বা অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের স্কিল (দক্ষ) ক্যাটাগরির কাজের নিয়োগপত্র পেতে হবে। প্রসঙ্গত, বর্তমান নিয়মে বিদেশিরা পড়াশোনা শেষে বাড়তি দুই বছর কাজের সুযোগ পায় দেশটিতে। নতুন নিয়মে, ব্যাচেলর পর্যায়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর করা হয়েছে। অন্যদিকে, প্রফেশনাল বা ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের খন্ডকালীন কাজের ক্ষেত্রেও শর্তারোপ করা হয়েছে।
ভিসা রিফিউজের কারণসমূহ
-
আবেদনকারীর আইইএলটিএস, টোফেল, জিআরই অথবা স্যাটে প্রয়োজনীয় টেস্ট স্কোর (প্রযোজ্য হলে) যদি না থাকে।
-
আবেদনকারী বিদেশে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন, তা নিশ্চিত না হলে। শিক্ষার্থী অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন এমন সন্দেহ তৈরি হলে ভিসা দেয় না কর্তৃপক্ষ।
-
টিউশন ফি, থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য ব্যয়ভার বহনের আর্থিক সচ্ছলতার ‘সঠিক’ কাগজপত্র না থাকলে।
-
ভিসা অফিসার যদি মনে করেন পড়াশোনা শেষে শিক্ষার্থীর বাংলাদেশে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই অথবা শিক্ষার্থী বিদেশে অভিবাসী হওয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন।
-
আবেদনকারীর কোনো আইনি ঝামেলার প্রমাণ পেলে।
-
ভিসা কর্মকর্তাকে কোনো মিথ্যা তথ্য দিলে।
-
ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ফরমে কোনো মিথ্যা বা ভুল তথ্য দিলে।
-
আবেদনকারী যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমতি পেয়েছেন, সে প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন না থাকলে।
-
আবেদনকারী যে বিষয়ে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে কিংবা এর ‘প্রয়োগ ক্ষেত্র’ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা না থাকলে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর অবস্থান সম্পর্কেও ধারণা থাকতে হবে।.
-
কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কোনো কাগজপত্র দেখতে চাইলে তা দেখাতে ব্যর্থ হলে।
-
ভিসা সাক্ষাৎকারে অপরিচ্ছন্ন, অশালীন পোশাক পরে গেলে, সাক্ষাৎকারের আদবকেতা না মানলে কিংবা আচরণগত কোনো সমস্যা দেখা গেলে।
-
ভিসা সাক্ষাৎকারের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজিতে প্রশ্ন করা হয়, ঠিকঠাক উত্তর দিতে না পারলে। প্রশ্নের জবাব সংক্ষিপ্ত হওয়াই ভালো, অপ্রাসঙ্গিক জবাব ভিসা কর্মকর্তার বিরক্তির উগ্রেক করবে এবং এতে প্রশ্নের সংখ্যা বাড়বে।
পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের ব্যবস্থা
আগে যুক্তরাজ্যে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ ছিল, বর্তমানে তা কমে সপ্তাহে ১০ ঘণ্টা হয়েছে। পড়াশোনার ফাঁকে কিংবা ছুটিতে তাঁরা চাকরি করতে পারেন। তা ছাড়া ছুটিতে তাঁরা পূর্ণ সময় কাজ করতে পারেন। যুক্তরাজ্যে ইস্টার, গ্রীষ্মকালীন ও ক্রিস্টমাসের ছুটিতে পূর্ণ সময় কাজ করার সুবিধা আছে।
ক্রেডিট ট্রান্সফার
যুক্তরাজ্য শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে এ জন্য শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে সরাসরি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এর মধ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিল চার-পাঁচজন শিক্ষার্থীর ক্রেডিট ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করেছে। তাঁরা প্রথমে গ্রেডশিট, পাঠ্য বিষয়বস্তু নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেছে, তারপর ব্রিটিশ কাউন্সিল তাঁদের সহায়তা করেছে।