ত্বকের যত্নে আমরা কত কিছুই করে থাকি। প্রতিনিয়ত কত শত ফেসপ্যাক ব্যবহার করছি। আবার এই রূপচর্চা নিয়ে কিছু বিষয় আছে যা আমরা বিশ্বাস করছি। বাস্তবে এই কথাগুলো সত্য নয়। এমন কিছু বিষয় আছে যা যুগ যুগ ধরে মানুষেরা বিশ্বাস করে আসছে। এই মতগুলোর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। প্রচলিত এমন কিছু মতবাদ নিয়ে আজকের এই ফিচার।
১. শীতকাল অথবা মেঘলা দিনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন নেইঃ
অনেকেই মনে করেন মেঘলা অথবা শীতকালে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। সানস্ক্রিনের প্রধান কাজ হল সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা। সূর্য মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়লেও তার আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি পৃথিবীতে ঠিকই পৌঁছে যায়। মেঘলা দিনে ৮০% পর্যন্ত ইউভি রশ্মি থাকতে পারে! তাই মেঘলা দিনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই এইরূপ ধারণা করা একদমই উচিত নয়।
২. এক্সফলিয়েশন লোমের বৃদ্ধি ধীরে করেঃ
আপনি হাত-পায়ের লোম তুলতে ওয়াক্সিং বা হেয়ার রিমুভার ব্যবহার করুন। অনেকে মনে করেন এক্সফোলিয়েশন বেশি করলে শরীরের লোমের বৃদ্ধির হার ধীর গতিতে হয়। কিন্তু এক্সফোলিয়েশন ত্বকের নিচের মেটাবলিজম পরিবর্তন করে না, যে লোমের বৃদ্ধি হ্রাস করবে।
৩. যত দামী সামগ্রী তত ভালঃ
অনেক সময়ে দামি পণ্যে কেমিক্যালের পরিমান কম থাকে। তবে এই ধারণাটি ভুল যে দামি পণ্য মানে ভাল পণ্য। অনেক কম দামি পণ্য আছে যা ত্বকের যত্ন অনেক ভাল কাজ করে। আপনার ত্বকের জন্য যে পণ্যটি ভাল হবে সেটি ব্যবহার করুন। দামী পণ্যটি ত্বকের জন্য ভাল নাও হতে পারে।
৪. দিনে দুইবার মুখ ধোয়াঃ
প্রচলিত আছে দিনে দুইবার মুখ ধোয়া উচিত। বাস্তবে দিনে একবার মুখ ধোয়াই যথেষ্ট। দিন শেষে একবার মুখ ফেসওয়াস দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। মুখ থেকে মেকআপ, ময়লা ভাল করে পরিষ্কার করে নিলে একবার মুখ ধোয়াই যথেষ্ট।
৫. সানস্ক্রিন শুধু কয়েক ধরণের ত্বকের জন্য প্রযোজ্যঃ
সানস্ক্রিন নিয়ে আরও একটি ভুল ধারণা এটি। সানস্ক্রিন সব ধরণের জন্য মানানসই। ফর্সা, কালো, তৈলাক্ত, শুষ্ক, যে ধরণের ত্বক হোক না কেন সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
৬. ব্রণের মাথা ভেঙ্গে দিলে আর ব্রণ উঠবে নাঃ
কখন কি খেয়াল করেছেন কোন ব্রণের মাথা ভেঙ্গে দিলে ঠিক তার পাশে আরেকটি ব্রণ দেখা দেয়? এর কারণ হল ব্রণের ভিতরে থাকা জীবাণু পাশে ছড়িয়ে পড়ে আর সেখান থেকে নতুন আরেকটি ব্রণের দেখা দেয়।