এক গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিযোগীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলতে পুরুষরা বেশ উদার। খেলার পরও তারা বিপরীত পক্ষের সঙ্গে আন্তরিক ও বন্ধুসুলভ হ্যান্ডশেক করেন।
পুরুষদের অনেক ক্ষেত্রেই আগ্রাসী বা ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ বলে তুলে ধরা হলেও হার্ভার্ডের গবেষণায় বলা হয়, টেনিস কোর্ট থেকে শুরু করে বক্সিং মঞ্চ পর্যন্ত এক বনাম এক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে পুরুষরা বিপরীত পক্ষের বিষয়ে নারীদের তুলনায় যথেষ্ট উদার। খেলা বা লড়াইয়ের পরও পুরুষরা অনেক বন্ধুসুলভ থাকেন। কিন্তু নারীরা এতটা উদার নন।
গবেষকরা ৪৪টি দেশের চার ধরনের ক্রীড়ার অনেক ভিডিও পর্যবেক্ষণ করেন। প্রতিযোগীর সঙ্গে পুরুষরা শান্তিস্থাপনমূলক আচরণ করে থাকেন। তারা জড়িয়ে ধরেন বা হ্যান্ডশেক করেন। কিন্তু নারীরা এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে।
তা ছাড়া পুরুষের এই আচরণকে ‘মেল ওয়ারিওর হাইপোথিসিস’ বলে তুলে ধরা হয়। লড়াইয়ের পরও পুরুষরা এমন আচরণে প্রমাণ করেন, ভবিষ্যতে তারা যুদ্ধের পরও শান্তি স্থাপনে আগ্রহী।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক জয়সি বেনেসন জানান, এ গবেষণা পুরুষদের বিষয়ে বিপরীতমুখী ফলাফল প্রকাশ করছে। কারণ সামাজিক বিজ্ঞান ও বিবর্তনবাদের ধারায় পুরুষদের আগ্রাসী বলে বিবেচনা করা হয়।
এখানে আরেকটি বিষয় বিতর্ক তুলেছে। পুরুষরা যুদ্ধ বা ব্যবসা পরিচালনায় বাইরের মানুষের মানুষের সঙ্গে ইতিবাচক আচরণ করার পাশাপাশি কিভাবে নিজ দলের প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে থাকেন।
এর আগের গবেষণায় বলা হয়েছে, পুরুষ শিম্পাঞ্জিরা ভারী লড়াইয়ের পরও পরস্পরের প্রতি গভীর আবেগ প্রকাশ করে। নারী শিম্পাঞ্জিরা তেমন নয়।
এমন আচরণকে আরো স্পষ্ট থেকে গেছে আধুনিক পরিবেশে। ক্রীড়া জগতেও এমন বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। লিঙ্গভেদে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে মানুষের আচরণের পার্থক্য বিরাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা টেনিস, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন ও বক্সিংয়ে নারী-পুরুষের আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন। কেবলমাত্র খেলা চলাকালীন নয়, খেলা শেষেও তাদের আচরণের পার্থক্য স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়।
বেনেসন বলেন, সাধারণত নারীদের কম প্রতিযোগিতাসুলভ মনোভাবসম্পন্ন করা যায়। কিংবা তাদের বেশি বেশি সহযোগী মনে করা হয়। কিন্তু এ গবেষণায় ভিন্ন ফলাফল বেরিয়ে এসেছে।
গবেষণাপত্রটি কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।.