একজন মানুষ যে সব সময় সুখী থাকেন তা ঠিক নয়। প্রতিটি মানুষই সুখ এবং দুঃখ এই দুইয়ের সমন্বয়ে জীবন কাটান। কিন্তু কিছুটা সময়ের জন্য অসুখী থাকা এবং অভ্যাসগত ভাবে অসুখী জীবনযাপন করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যারা দীর্ঘকাল ধরে অসুখী তারাই অভ্যাসগত ভাবে অসুখী জীবনযাপন করেন। একটি পরীক্ষায় ১০০০ জন মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় যে তাদের মধ্যে বেশীরভাগ মানুষের দীর্ঘকাল অসুখী থাকার পিছনে তাদের কিছু কিছু আচরণ রয়েছে। এইসব পিছুটান দূর করতে পারলেই তারা অসুখী জীবনযাপন হতে মুক্তি পেতে পারেন। দূরে রাখতে পারেন বিষণ্ণতা ও কষ্টের অনুভব।
আত্মসম্মান বাড়ান
নিজেকে ভালবাসুন। নিজের ভেতরের আত্মসম্মানকে জাগিয়ে তুলুন। আপনি যেমন নিজেকে ঠিক সেভাবেই স্বীকার করে নিন এবং উপস্থাপন করুন। এক মুহূর্তের জন্যও নিজেকে অন্য কারো সাথে তুলনা করে হতাশা ডেকে আনবেন না। অন্য কারো কথায় নিজের স্বত্বাকে বিসর্জন দেবেন না। যে যে কাজ আপনার জন্য ভালো এবং আপনাকে আনন্দ দেয় সেইসব কাজ করুন। অন্য কারো কথায় কান দিয়ে নিজেকে খুশি পাওয়া থেকে বঞ্চিত করবেন না।
পুরনো কিছু আঁকড়ে ধরে রাখবেন না
অতীত কষ্টের স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রাখলে বর্তমানে সুখী হওয়া যায় না। জীবন অনেক ছোট একটি সময়। এর মধ্যে অতীতকে বারবার মনে করে বর্তমানে অসুখী হওয়া বোকামি। ক্ষমা করা শিখুন, অতীতকে ছেড়ে দিন, আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখুন।
বর্তমান নিয়ে খুশি থাকুন
অতীতে কি হয়েছিলো, ভবিষ্যতে কি হবে এইসব ব্যাপারে মাত্রাতিরিক্ত চিন্তা বর্তমানের খুশিকে নষ্ট করে দেয়। সব ব্যাপারে অতীতকে ভেবে কষ্ট ডেকে আনবেন না। যতটুকু ভাবলে আপনার বর্তমান জীবনে কোন প্রভাব পড়বে না ততটুকুই ভাবতে শিখুন। বর্তমানের সব ছোটোখাটো সব কিছু থেকে আনন্দ পেতে শিখুন।
অপরের কথায় নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন না
মনে রাখবেন প্রথম ভালোবাসা হচ্ছে নিজেকে ভালোবাসা। আপনি নিজেকে ভালো না বাসতে পারলে অন্য কারো থেকে ভালোবাসা আশা করা যায় না। মানুষ আপনার সম্পর্কে কী চিন্তা করবে এইসব ভেবে নিজেকে দমিয়ে রাখবেন না। অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। অপরের জন্য নিজেকে বদলাবেন না।
ভাগ্যের উপর ভরসা করে থাকবেন না
ভবিষ্যতে কি হবে আগে থেকে জানা যায় না। যা ভাগ্যে লেখা আছে তাই হবে এই চিন্তা করে বসে থাকলে জীবনে কিছুই করতে পারবেন না। আপনার ভাগ্যের কিছু অংশ আপনার নিজের হাতেও থাকে। আপনার বর্তমানকালের ছোট একটি পদক্ষেপই হতে পারে আপনার ভবিষ্যতে সুখী হওয়ার কারণ।