ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে প্রায়ই বাইরে বা দোকানে তো খেতে যেতেই হয়। রেস্টুরেন্টে খাবার অভ্যাস কম বেশী সবারই আছে। এমনি থেকেও পনের দিন কিংবা মাসে একবার রেস্টুরেন্টে যাওয়া পরে অনেকেরই। রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার কিছু সহবত বা শিষ্টাচার রয়েছে। বাসার বাইরে খেতে গেলে কিছু আদবকায়দা মেনে চলতে হয়। এই আদবকায়দা না জানলে সবার সামনে অপমানিত হতে হয়।
খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু প্রায় সময়ই বিভিন্ন জনের রেস্টুরেন্টে খেতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকে খেতে গিয়ে হাত থেকে কাটা চামচটা ফেলে দেয়, কেউ বা চিৎকার করে ওয়েটারকে ডাকতে গিয়ে অন্যদের বিরক্ত করে, কেউ আবার খাবার ভালো না লাগলে শুরু করে চেঁচামেচি যা একেবারেই ঠিক নয়। তাই রেস্টুরেন্টে খাওয়ার আবদকায়দা নিয়ে এবারের আয়োজন।
-
রেস্টুরেন্টে বসে প্রথমে ড্রিংকস্ অর্ডার দিন। এর পর খাবারের তালিকা বলুন।
-
ড্রিঙ্কস ক্যানে বা বোতলে না খেয়ে গ্লাসে ঢেলে পান করুন।
-
মেন্যুতে খাবারের নাম ও সেটা কি জাতীয় তা বুঝতে না পারলে অবশ্যই ওয়েটারকে জিজ্ঞেস করবেন।
-
খাবার আসলে প্রথমেই কোলে ন্যাপকিন পেতে নিন।
-
খাবারের অর্ডার সবাই মিলে না দিয়ে একজন দিন। যিনি অর্ডার দিবেন তিনি আর সবার পছন্দ অপছন্দ জেনে নিবেন।
-
অর্ডার দেয়ার সময় অবশ্যই সালাদ রাখুন খাবারের তালিকায়।
-
রেস্টুরেন্টে পার্টির আয়োজন করলে আগে থেকে বুকিং দিতে হবে।
-
রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে কিংবা খাওয়ার সময় আস্তে কথা বলুন।
-
খাবার অর্ডার দিয়ে ধৈর্য ধরুন।
-
খাবারে কোন সমস্যা দেখা দিলে ম্যানেজারকে জানান। অযথা ওয়েটারের সঙ্গে বাক্যালাপ বা রাগারাগি করবেন না। এটা ভদ্রতার পরিচায়ক নয়।
-
ওয়েটারকে ডাকার প্রয়োজন হলে চিৎকার না করে হ্যালো বা এক্সকিউজ মি বলে ডাক দিবেন।
-
খেতে বসে চামচ বা কাঁটা উঠিয়ে বা হাত নেড়ে কথা বলবেন না।
-
খাওয়ার সময় ব্যাগ, মোবাইল, চাবি, টেবিলের ওপরে রাখবেন না।
-
বেশি কোমল পানীয় খেয়ে ফেলবেন না, তাতে বারবার ঢেঁকুর ওঠার সম্ভাবনা থাকে।
-
খাবার আসা মাত্রই খেতে শুরু করবেন না। আপনার আশে পাশের মানুষকে আগে সার্ভ করুন। সকলের সম্মতি নিয়ে খেতে বসুন।
-
সবার আগে খাওয়া শেষ হলে এক্সকিউজ মি বলে চেয়ার ছাড়ুন।
-
একেবারে ঠেসে খাবেন না যেন হাঁসফাঁস লাগে। খাওয়া শেষে অবশ্যই ঢেঁকুর তুলবেন না।
-
পার্টি বা দাওয়াতের ব্যাপার হলে হোস্ট কখনোই বিলের পরিমান গেস্টকে জানাবেন না।
-
খাবার ভাল না লাগলে তা নিয়ে নাড়া চাড়া করবেন না।
-
সঙ্গী থাকলে ধীরে ধীরে গল্প করে খাওয়া হয়, যা আপনার অল্পতে রসনা তৃপ্তি করতে সাহায্য করে আবার ভদ্রতাও বজায় থাকে।
-
কত জন খাচ্ছেন, কী জাতীয় খাবার আর রেস্টেুরেন্টের স্ট্যাটাসের ওপর নির্ভর করে টিপ্সের পরিমান। সাধারন ভাবে যা বিল হয় তার ১০%-২০% টিপস দেয়া হয়।
-
রেস্টুরেন্টের আয়োজন খুব ভাল হলে বা লোক সংখ্যা বেশি হলে টিপ্সের পরিমানও বাড়তে পারে।
-
কোনও কারণে রেস্তরাঁর খাবার বা পরিবেশ পছদ না হলে সেখানে রাগারাগি করে ঝামেলা তৈরি করবেন না। বিল মিটিয়ে বেড়িয়ে আসুন।