ভালোবাসার মানুষের খুব ছোট্ট অনেক কথা বা কাজেও প্রচন্ড রকম কষ্ট হয়। এমনিতে হয়তো সেটা কিছুই নয়। কিন্তু হুট করে বলে বা করে বসা এই কাজ আর মন্তব্যগুলোর কারনেই অনেক সুন্দর একটা সম্পর্কের ভিত নড়ে ওঠে। একসময় যাকে না দেখলে একটা মুহূর্ত কাটতে চাইতো না তার থেকে চলে যেতে হয় অনেক দুরে। এতটাই দুরে যে তখন আর কোনভাবেই সেই দুরত্ব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়না। ভালোবাসেন কাছের মানুষটিকে? তাহলে সামান্য ঝগড়াঝাটিকে বাড়ার আগেই থামিয়ে দিন। দ্রূত করে ফেলুন এই ছোট্ট কাজগুলো।
১. কথা বলুন
সম্পর্কের ঝগড়াগুলো বেশিরভাগ সময় কেবল একটা কারনেই টিকে থাকে। আর সেটা হল পরস্পরের সাথে কথা না বলা। পৃথিবীতে যত ধরনের সমস্যা সেসবের সমাধান কখনোই চুপ থেকে হয়নি। সবসময় কথা বলেই সব জিনিসের একটা সুন্দর আর সুস্থ সমাধানের খোঁজ পাওয়া সম্ভব। আর তাই নিজেদের ইগোকে একটু সময়ের জন্যেও পাশে রেখে কথা বলুন একে অপরের সাথে। জানুন ভুলটা কি ছিল আর কোথায় ছিল।
২. নিজের ভুল মেনে নিন
মানুষ কখনোই সবসময় সবক্ষেত্রে সঠিক হতে পারেনা। হতেই পারে যে নিজের অজান্তেই আপনার করা ভুল কাজ বা ধারনার থেকেই এই ঝামেলার শুরু হয়েছে। আর তাই মেনে নেবার মতন মন তৈরি করুন। যদি সত্যিই ভুলটা আপনার হয় তাহলে সেটাকে হাসিমুখে মেনে নিন।
৩. সময় দিন
কি হয়েছে, কেন হয়েছে, কতটা ভালো বা খারাপ হয়েছে- এসব ভাবার জন্যে নিজে সময় নিন। সময় দিন ভালোবাসার মানুষটিকেও। সম্পর্ককে সুস্থ রাখতে হলে খানিকটা বিরতির দরকার আছে। সেটাই নিন। আর সাজিয়ে ফেলুন নিজেদের আর নিজেদের সম্পর্ককে নতুন করে।
৪. কারন বের করুন
কেন আর সবাইকে বাদ দিয়ে ঐ একজন মানুষের প্রতিই আপনি দূর্বল হয়ে পড়লেন? বের করুন কারনগুলো। ভাবুন আপনার সম্পর্কের আর ভালোবাসার মানুষটির ইতিবাচক আর ভালো দিকগুলো।
৫. ছাড় দিন
সম্পর্কে কিছু ছাড় দিতে হয়। সেটা নারী হোক অথবা পুরুষ। যে কেউ ভুল করে ছোট একটা ভুল করে বসতেই পারে। ছাড় দিন সেটাকে। বারবারের জন্যে না হলেও অন্তত একবার। কিছুই হয়নি- এমনটা বোঝাতে চেষ্টা করুন নিজের আচরনের মাধ্যমে। তাতে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ বাড়বে বই কমবে না।
৬. পছন্দের কাজ করুন
এমন কি কোন কাজ আছে যেটা আপনারা দুজন একসাথে করতে ভালোবাসতেন? তাহলে সেটাই করুন। চট করে বেরিয়ে আসুন পছন্দের কোন জায়গা থেকে। এতে সম্পর্কের শিথিলতা কমবে।