আয়নায় নিজেকে দেখতে কার না ভালো লাগে! নারী-পুরুষ নির্বিশেষ সবাই আয়নায় নিজেকে একবার হলেও দেখেন! নিজের সৌন্দর্য দেখার জন্য না হোক, নিজের পরিচর্যার জন্যও আয়নার প্রয়োজন হয়। যেমন - চুল আঁচড়ানো বা ক্রিম দেয়ার সময়।
নারীর সৌন্দর্যের অনুষঙ্গ হিসেবে আয়না বিবেচিত হয়। তুষারকণার সেই সত্মায়ের কথা মনে আছে? যে জাদুর আয়নাকে জিজ্ঞেস করত, সবচেয়ে রূপবতী কে! নিজের সৌন্দর্যের প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে! আর প্রশংসা শুনলেই আয়নায় নিজেকে দেখতে ইচ্ছে করে। ঘরে তো বটেই নিজের ব্যাগে সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে আয়না রাখেন অনেকেই। বিশেষ করে মেয়েরা নিজেদের প্রসাধনের সুবিধার জন্য হ্যান্ডব্যাগে রাখেন নানা ধরনের ফ্যান্সি আয়না।
বাজারে নানা ধরনের ফ্যান্সি আয়না পাওয়া যায়। কোনোটি ধাতুর তৈরি, কোনো কাঠের তৈরি আবার কোনোটি প্লাস্টিকের। মাটির তৈরি ছোট আয়নাও পছন্দ করে অনেকে, তবে তা ব্যাগে রাখলে খুব সহজেই ভেঙ্গে যায় বলে পার্স মিরর হিসেবে সেটার ব্যবহার কম। কাগজের তৈরি আয়না হালকা বলে ব্যাগে রাখার আয়না হিসেবে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। কিনে ব্যবহারের পাশাপাশি আপনি বানিয়েও ফেলতে পারেন নিজের জন্য কাগজের আয়না।
আয়না তৈরির কৌশল -
উপকরণ :
পিচবোর্ড, প্রিন্টের কাপড় অথবা রঙিন কাগজ, আঠা, আয়না, এন্টিকাটার, কাঁচি, পেনসিল।
পদ্ধতি :
প্রথমেই আয়নার আকার ঠিক করে নিন। এরপর পেনসিল দিয়ে পিচবোর্ডের ওপরে এর বাহ্যিক আকারটি এঁকে ফেলুন। এন্টিকাটার দিয়ে কেটে নিন। এক ইঞ্চি জায়গা রেখে ভেতরে আয়না বসনোর জন্য জায়গা এঁকে ফেলুন। এরপর এন্টিকাটার দিয়ে কেটে বের করে নিন। রঙিন কাগজ বা প্রিন্টের কাপড়ে আঠা লাগিয়ে কাগজের ফ্রেমটি মুড়ে নিন। এটা শুকিয়ে গেলে ফ্রেমের পেছন দিকে আয়নাটি স্কচটেপ দিয়ে লাগিয়ে ফেলুন। আয়নার পেছনে এক টুকরো পিচবোর্ড আঠা দিয়ে আটকে দিন। তৈরি হয়ে গেল ব্যাগে রাখার উপযোগী আয়না। আপনি চাইলে এতে হাতলও যুক্ত করতে পারেন। সেক্ষেত্রে পিচবোর্ড কাটার সময় হাতলসহ কাটুন। এই পদ্ধতিতে বড় দেয়ালে রাখার আয়নাও তৈরি করতে পারবেন।
আয়না তৈরির সব উপকরণ স্টেশনারি দোকানগুলোতেই পেয়ে যাবেন। আর আয়না পাবেন গ্লাস ও বাঁধাইয়ের দোকানগুলোতে। আপনি আপনার পছন্দমতো আকারে আয়না কেটেও নিতে পারবেন এসব দোকান থেকে।