বিয়ের ক্ষেত্রে বা প্রেম-ভালোবাসা যেটাই হোক না কেন ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে বয়সে একটু বেশিই হয়। এটা আমাদের সামাজিক রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারিবারিকভাবে বিয়ের ক্ষেত্রে অনেকসময় অভিভাবকরা মেয়ের চেয়ে তুলনামূলক বেশি বয়সের ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে থাকেন। এখানে মেয়ের কিছু বলার থাকে না। বিয়ের পর উল্টাপাল্টা কিছু হলে পরিবারের উপর সব দোষ চাপিয়ে দেয়। কিন্তু এই মেয়েরাই অনেক সময় তার চেয়ে তুলনামূলক বেশি বয়সের ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তখন তার কাছে সবকিছু ঠিকঠাকই মনে হয়। তাদের এমন মনোভাবের কারণ কী? বাবা-মার পছন্দ করা বেশি বয়সী পাত্রকে তাদের পছন্দ হয় না কিন্তু বেশী বয়সী প্রেমিক তাদের ঠিকই পছন্দ হয়। আসুন এ বিষয়ে একটু জেনে আসি।
প্রথমেই যে বিষয়টি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি ঘুরপাক খায় সেটি হলো আর্থিক নিশ্চয়তা। অনেক মেয়ে আছে যাদের কম বয়সী প্রেমিকের চেয়ে টাকাওয়ালা বেশী বয়সী প্রেমিকই পছন্দ। কেননা এ ধরনের যতো ঘটনা ঘটে থাকে তার বেশিরভাগ পুরুষই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। মেয়েরা বর্তমান সময় ও ভবিষ্যৎ জীবনের আর্থিক নিশ্চয়তার কারণেই এরকমটি করে থাকে।
শুধুমাত্র টাকা পয়সার কারণেই মেয়েরা বেশী বয়সী পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়ায় না। এর জন্য অতীতে তরুণ প্রেমিকেরও অবদান রয়েছে। অনেক সময় মেয়েরা তরুণ কোনো প্রেমিকের কাছ থেকে আঘাত পেয়ে নতুন করে কোনো আঘাত পাওয়ার ভয়ে তরুণের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে মধ্যবয়স্ক কাউকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয়।
আমাদের সমাজে অনেক মেয়েই আছে যারা ছোটবেলা থেকেই নানা অশান্তির মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে। তাই তাদের মধ্যে সুখ লাভের আশা বরাবরই সোনার হরিণের মতো মনে হয়। তাই আশেপাশের কোনো পুরুষকে যদি দেখে তার স্ত্রী-পরিবারকে সে অনেক সুখে শান্তিতে রেখেছেন তখন সেই মেয়েটি সুখে-শান্তিতে থাকার আশায় সেই পুরুষটির প্রেমে পড়ে যায়। এর কারণ সে ভাবে পুরুষটি তার প্রথম স্ত্রী-সন্তানকে যেমনভাবে সুখে শান্তিতে রেখেছে তাকেও এমনই সুখে-শান্তিতে রাখবে।
এছাড়া ছোটবেলা থেকে বাবার আদর বঞ্চিত হওয়া, যৌন অভিজ্ঞতা এসব কারণেও মেয়েরা বেশী বয়সী পুরুষদের প্রেমে পড়ে থাকে। তবে সবদিক বিবেচনা করে দেখা যায়, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও একটা সময় এসে এটা বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই পারিবারিকভাবে হোক কিংবা নিজের ইচ্ছাতেই হোক না কেন বেশী বয়সটা যেন বড় বেশী না হয়।