ভালোবাসার জন্য মানুষ পারে না এমন কাজ পৃথিবীতে বর্তমানে কমই আছে। যেমন – কেউ সাত সমুদ্র পাড়ি দিতে চায়, কেউবা সিন্ধু সেঁচে মুক্তো এনে দিতে চায় আবার কেউ প্রেমিকার জন্য তাজমহল বানিয়ে দিতে চায়। সারা বিশ্বে প্রেমের নিদর্শন হিসেবে তাজমহল একটি বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছে। বিশ্বের সকল প্রেমিক-প্রেমিকাই শাহজাহান-মমতাজের প্রেমের সম্পর্কে নিজেদের আইডল ভাবেন। কিন্তু শাহজাহান-মমতাজের প্রেমের সম্পর্ক ও তাজমহলের পেছনের যে নৃশংসতা লুকিয়ে রয়েছে তা আমরা জেনেও তাদের নিয়েই মেতে আছি।
-
আমরা অনেকেই হয়তো জানি যে সম্রাট শাহজাহান মমতাদের আগের স্বামীকে হত্যা করে মমতাজকে বিয়ে করেছিল।
-
শুধু তাই নয় মমতাজের আগেও সম্রাট শাহজাহানের আরও ৩ জন স্ত্রী ছিলেন এবং মমতাজকে বিয়ে করার পরও সম্রাট শাহজাহান আরও তিনটি বিয়ে করেন।
-
এমনকি মমতাজ মারা যাওয়ার পর শাহজাহান মমতাদের আপন ছোট বোনকে বিয়ে করেন।
-
যেই তাজমহল নিয়ে আমরা লাফালাফি করি সেই তাজমহল
-
তাজমহলের ডিজাইনারের নাম ছিল- ঈশা মোহাম্মদ। তিনি তার স্ত্রীকে উপহার দেয়ার জন্য একটি ভাস্কর্য বানিয়েছিলেন। পরে সম্রাট শাহজাহানের পছন্দ হওয়াতে সেই ডিজাইনের আদলে বানানো হয় বিশ্ববিখ্যাত তাজমহল এবং সেই ব্যক্তিটির চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয় যাতে তিনি নতুন করে আর এই ডিজাইন তৈরি করতে না পারেন।
-
শুধু তাই নয়, যে বিশ হাজার শ্রমিক দিন রাত খেটে এই মহলটি তৈরি করেছিলেন তাদের হাতও কেটে দিয়েছিলেন সম্রাট শাহজাহান।
আজকালও আমাদের সমাজে দেখা যায় প্রেমিকরা তাদের প্রেমিকাকে খুশি করতে হাজার হাজার টাকা খরচ করে বিভিন্ন গিফট দেয়। তাদের ধারণা বাবার কষ্টের টাকা কিংবা সারাদিন টিউশনি করে উপার্জন করা টাকা প্রেমিকার পিছনেই খরচ করতে পারলেই প্রেম সার্থক। টাকা থাকলে এরকম ভুরি ভুরি প্রেম আপনার সামনে হামাগুড়ি খাবে। যখন আপনার টাকা থাকবে না তখন আপনি হয়ে যাবেন প্রেম ভিখারী। তাই টাকা দিয়ে নয় বরং প্রকৃত প্রেম দিয়ে কাউকে জয় করার চেষ্টা করাই ভালো।