২ রা এপ্রিল বিশ্ব শিশু বই দিবস। ১৮০৫ সালের ২রা এপ্রিল ডেনমার্কের ওডেন্সে শহরে জন্মেছিলেন এমন একজন মানুষ, যিনি রূপকথার জাদুতে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছেন দুনিয়ার প্রায় সব শিশু-কিশোরকে। কুৎসিত হাঁসের ছানা, থাম্বালিনা, দ্যা স্নো কুইন, লিটল মারমেইড, রাজার নতুন পোশাক - এ রূপকথাগুলো পড়েনি এমন শিশু-কিশোর খুব কমই আছে পৃথিবীতে। রূপকথা দিয়ে একই বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন দুনিয়ার তাবৎ শিশু-কিশোরকে। যারা তাঁর রূপকথা পড়েছে তারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছ হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের কথাই বলা হচ্ছে। ১৯৬৭ সাল থেকে এই রূপকথার জাদুকরের জন্মদিনকে বিশ্ব শিশু বই দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে সারা পৃথিবীতে। বই পড়ার প্রতি শিশুদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্যই এই আয়োজন।
বই হচ্ছে শেখবার, জানবার ও জ্ঞান অর্জনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। দেশ ও জাতি গঠনে বইয়ের ভূমিকা সবচাইতে বেশি। শিক্ষা বা জ্ঞান আহরণ ছাড়া কোন দেশের বা কোন জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। আর সহজ উপায়ে মানুষের মধ্যে শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো ছড়াতে সমাজের জন্য বই অপরিহার্য। তাই আমাদের দেশের আগামী প্রজন্মকে যারা দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার তাদেরকে এখন থেকেই প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধানে বই পড়ার প্রতি বিশেষ মনোযোগী করে তুলতে হবে। শিশুকাল হলো একজন মানুষের ভবিষ্যৎ ছাচ বা ডিজাইন। এই সময়ে তাকে যেভাবে গড়ে তোলা হবে সে সেভাবেই গড়ে উঠবে। পরিণত বয়সেও অনেকে বই পড়ার প্রতি ঝুঁকে পড়ে। তবে সে ঝোঁকটা যদি শিশুবেলা থেকেই গড়ে উঠে তাহলে সেই শিশু ভবিষ্যতে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকের ধরা-বাধা শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদেরকে সমসাময়িক জ্ঞানমূলক বই পড়ায়ও উৎসাহিত করতে হবে।