
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোরে বিল্ট-ইন ইনফ্রারেড ব্লাস্টার রয়েছে, যা দিয়ে টেলিভিশনের ইউনিভার্সেল রিমোট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আইফোনের এই রকম সুবিধা নেই।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোরে নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন (NFC) থাকায় একটি মোবাইল থেকে আরেকটি মোবাইলে NFC ব্যবহার করে কথা বলা যাবে এমনকি মোবাইলে বিল পরিষোধও করা যাবে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোরে প্রতিস্থাপনের যোগ্য ব্যাটারি থাকায় যেকোন সময় ব্যাটারি পরিবর্তন করা যায়। আইফোন এ যায় না।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোরে ১০৮০ পিক্সেলে ভিডিও চালানো যায়, যা আইফোন বা অন্যান্য ফোনে এখন পর্যন্ত চালানো সম্ভব না।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোর ফোনটির মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গ্রুপ প্লে নামক অ্যাপসের মাধ্যমে গেমস খেলা, ফাইল অথবা ছবি ইত্যাদি শেয়ার করতে পারবেন।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোরের ক্যামেরাতে অনেক ট্রিকস রয়েছে, যেমন এই ফোনটির মাধ্যমে আপনি আপনার ছবি থেকে ঝাপসা আকার দূর করতে পারবেন। আইফোনে এই রকম সুবিধা নেই।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোর ফোনটির দিকে যখন আপনি তাকিয়ে থাকবেন তখন এটি জ্বলে থাকবে, অন্যথা এর ডিসপ্লে লাইট অফ থাকবে। অর্থাৎ এতে আই সেন্সর রয়েছে।

স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোর ফোনটির ইউএসবি প্লাগ ব্যবহার করে একসাথে আপনি চার্জ এবং কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করতে পারবেন। এই প্লাগগুলো বাজারে অনেক সহজেই পাওয়া যায়। আইফোনে সহজে যায় না।

আইফোনের চেয়ে গ্যালাক্সি এস আর মনিটর ০.৫ ইঞ্চি বড় অর্থাৎ আইফোন ৩.৫ এবং গ্যালাক্সি এস এর মনিটর ৪ ইঞ্চি। অন্যদিকে গ্যালাক্সি এস২ এর মনিটর ৪.৫ ইঞ্চি, গ্যালাক্সি এস৪ এর মনিটর ৫ ইঞ্চি এবং গ্যালাক্সি নোট ৫.৩ ইঞ্চি। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ফোর ৫ ইঞ্চি দীর্ঘ ডিসপ্লে রয়েছে, যা আইফোন ৫ এর তুলনায় অনেক বড়।

আইফোনে কোন কল আসলে মিউট, রিজেক্ট করা যায়। অন্য কিছু করতে হলে কোন সফটওয়ার ইন্সটল করা লাগে। গ্যালাক্সি এস এ ইনবিল্ট অনেক সুবিধা দেয়া আছে। যেমন কল রিজেক্ট করা, কল আসার সাথে সাথে নিজের মত করে যে কোন ধরনের টেক্সট মেসেজ দেয়া যায়। যে কোন কল ব্লক করে দেয়া বা সাইলেন্ট করে দেয়া যায়।

আইফোনের ফোনবুক থেকে একের অধিক কন্ট্যাক্ট একসাথে ডিলিট করা যায় না। গ্যালাক্সিতে তা একেবারে সোজা।

সফটওয়ার ছাড়া আইফোনকে পেনড্রাইভ হিসাবে ব্যবহার করা যায় না, কিন্তু গ্যালাক্সি এস কে পেনড্রাইভ হিসাবে ইউজ করা যায়।

গ্যালাক্সি এস ফোরে অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা যায় এবং এগুলো দামে সস্তা, আইফোনে এই সুবিধাটি নেই। গ্যালাক্সি এস এর ইনবিল্ট মেমরি ৪ বা ৮ বা ১৬ জিবি এবং আরো ১৬ বা ৩২ জিবি জিবি মাইক্রো এসডি ব্যবহার করা যায়। আইফোন ৩জিএস আর ইনবিল্ট মেমরি ৮ বা ১৬ বা ৩২ জিবি হয়ে থাকে এবং এক্সটারনাল মেমরি'র সুবিধা নাই।
আপলোডের তারিখ: ১৯/০৫/২০১৩