আরও দেখুন: ব্রিটেনের ভিসা ● ব্রিটেনের স্টুডেন্ট ভিসা ● ব্রিটেনের দর্শনীয় স্থানগুলো
ব্রিটিশ কাউন্সিল ● লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি
ব্রিটেনে বাংলাদেশ হাই কমিশন ● বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশন
বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ ইংল্যান্ড। কারন দেশটিতে রয়েছে অসংখ্য মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে রয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব ডিগ্রী প্রদান করা হয় সেগুলো হচ্ছে:
-
ব্যাচেলর ডিগ্রী
-
মাস্টার্স ডিগ্রী
-
এম.বি.এ ডিগ্রী
-
ডক্টরেট ডিগ্রী
-
হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা
-
কারিগরী কোর্স
-
সার্টিফিকেট এবং ডিপ্লোমা কোর্স যেমন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজি-ডিপ), পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট (পিজি-সার্ট) ইত্যাদি।
ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সাধারনত দু’টি সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়। এগুলো হচ্ছে:
-
অটাম সেমিস্টার-সেপ্টেম্বর-জানুয়ারী
-
স্প্রিং সেমিস্টার-জানুয়ারী থেকে জুন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী:
-
আপনি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন অফিসে মেইল করে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন।
-
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আপনি ভর্তি ফরম ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
-
কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে অনলাইনে ভর্তির সযোগ
-
এডমিশন অফিস আপনার অনুসন্ধানের জবাবে ভর্তি এবং ভিসার জন্য কি কি ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হবে তা বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিবে।
-
ভর্তি প্রক্রিয়াটি অন্তত ১ বৎসর সময় হাতে রেখে শুরু করা উচিত। আবেদনপত্র গ্রহনের পর ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
-
সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এবং মার্কশীটের ইংরেজী ভার্সন।
-
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র
-
টোফেল বা আইইএলটিএস স্কোর এর প্রমানপত্র
-
পাসপোর্টের ফটোকপি
-
রেফারেন্স লেটার
-
সকল কপি একজন পাবলিক নোটারী কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে
-
বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার শিক্ষাগত, ভাষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা এবং কোর্সের মেয়াদ
কোর্সের নাম
|
প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা
|
ভাষাগত দক্ষতা
|
মেয়াদ
|
ব্যাচেলর
|
কমপক্ষে ১২ বৎসর মেয়াদী শিক্ষা
|
আইইএলটিএস ৬-৬.৫
|
৩-৪ বৎসর পূর্নকালীন স্টাডি
|
মাস্টার্স
|
কমপক্ষে ১৬ বৎসর মেয়াদী শিক্ষা
|
আইইএলটিএস ৬.৫-৭
|
১-৩ বৎসর পূর্নকালীন স্টাডি
|
-
আইন ও চিকিৎসাবিদ্যার জন্য ৫ বৎসর পূর্নকালীন অধ্যায়ন প্রয়োজন।
-
স্থাপত্যবিদ্যার জন্য প্রয়োজন ৭ বৎসরের পূর্নকালীন অধ্যায়ন।
-
পি,এইচ,ডি প্রোগ্রামের জন্য ৩ থেকে ৪ বৎসর পূর্নকালীন অধ্যায়নের প্রয়োজন হয়।
যেসব বিষয়ে অধ্যায়ন করতে পারেন:
ইংল্যান্ডে অধ্যায়নের জন্য আপনি নিম্নের যে কোন বিষয় বেছে নিতে পারেন:
-
তত্ত্বীয় ও ফলিত বিজ্ঞান
-
কম্পিউটিং এন্ড ম্যাথমেটিক্যাল সাইন্স
-
হেলথ এন্ড মেডিসিন
-
আইন
-
বিবিত্র
-
এমবিএ
-
সমাজবিজ্ঞান
-
হোটেল ম্যানেজমেন্ট
-
ক্রিয়েটিভ আর্ট ইত্যাদি
শিক্ষা ব্যয়:
-
ফাউন্ডেশন কোর্স প্রতি বছর ৪০০০ পাউন্ড থেকে ১২০০০ পাউন্ড
-
কলা বিষয়সমূহ -প্রতি বছর ৭০০০ পাউন্ড-৯০০০ পাউন্ড
-
বিজ্ঞান বিষয়সমূহ- প্রতি বছর ৭৫০০ পাউন্ড- ১২০০০ পাউন্ড
-
ক্লিনিক্যাল বিষয়সমূহ- প্রতি বছর ১০০০০ পাউন্ড -২১০০০ পাউন্ড
-
এম,বি,এ- প্রতি বছর ৪০০০ পাউন্ড -৩০০০০ পাউন্ড
কাজ করার সুযোগ:
-
ইংল্যান্ডে ছাত্রছাত্রীরা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ পায় এবং ছুটির দিন এই সুযোগ ৩৬ ঘন্টার জন্য। বড় বন্ধের সময় কোন বাধা ধরা নিয়ম নেই সবসময়ই কাজ করতে পারে শিক্ষার্থীরা।