বাংলাদেশে মেরিন একাডেমি যাত্রা শুরু করে ১৯৬২ সালে। চট্রগ্রামে প্রায় ১০০ একর জমিতে এর যাত্রা শুরু। বাণিজ্যিক জাহাজের কর্মকর্তা বা প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন পূরণে এই প্রতিষ্ঠান বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই প্রতিষ্ঠান ২০০০ সালে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়।
পঠিত বিষয়
এখানে মোট দুটি বিষয়ে অধ্যয়ন করানো হয়, যথা- নটিক্যাল সায়েন্স ও নৌ প্রকৌশল (মেরিন ইঞ্জিনয়ারিং)। উভয় বিষয়ে এখানে স্নাতক কোর্স করানো হয়।
ভর্তি যোগ্যতা
ক) আগ্রহী প্রার্থীদেরকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতে হয়।
খ) মাধ্যামিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ থাকতে হবে।
গ) বয়স অনূর্ধ্ব ২১ বছর হতে হবে।
ঘ) প্রার্থীকে অবশ্যই সাঁতার জানতে হবে।
ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া
টেলিটক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। আবেদন ফি ৭০০ টাকা।
নির্বাচন প্রক্রিয়া
মোট পাঁচ ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর একজন প্রার্থীকে মেরিন একাডেমিতে ভর্তি যোগ্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
ধাপ-১
|
ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান ও সাধারন জ্ঞান এই বিষয়গুলোর উপর প্রার্থীকে ৩০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
|
ধাপ-২
|
প্রার্থীকে শারীরিক যোগ্যতা ও সাঁতার পরীক্ষায় অবতীর্ন হতে হয়।
|
ধাপ-৩
|
প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
|
ধাপ-৪
|
প্রার্থীর চোখের বিশেষ পরীক্ষা করা হয়।
|
ধাপ-৫
|
প্রার্থীর চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
|
বস্তুতঃ প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রার্থীর নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু। প্রতিটি ধাপেই প্রার্থীকে উত্তীর্ণ হতে হয়।
কোর্স
একাডেমিতে দুটি বিষয়ে মোট ৩ বছর অধ্যয়ন করানো হয়। এর মধ্যে প্রথম দুই বছর তত্ত্বীয় অধ্যয়ন এবং শেষের এক বছর সমুদ্রে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে নটিক্যাল সায়েন্স, নেভিগেশন ওয়াচ ব্যবস্থাপনা, যাত্রাপথ প্রনয়ণ, রাডার ও হাইটেক ব্যবহার, মেরিটাইম, স্যাটেলাইটের সাহায্যে যোগাযোগ, মালামাল ও ক্রু ব্যবস্থাপনা, লাইফবোট ব্যবহার, চিকিৎসা ব্যবস্থা, ব্যবসায় আইন, জাহাজের ইঞ্জিন ব্যবস্থাপনা, ইলেকট্রনিক প্রকৌশল, বিদ্যুৎ প্রকৌশল, কন্ট্রোল।
পেশার চাহিদা
পেশা হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশে ও বিদেশে এই পেশার রয়েছে প্রচুর সুযোগ। পোর্ট ক্যাপ্টেন, প্রশিক্ষক, জাহাজের প্রকৌশলী, জাহাজের অফিসার। এরকম অনেক পদেই এ পেশার সুযোগ রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে প্রচুর অর্থের নিশ্চয়তা।