সেন্ট গ্রেগরী স্কুল ঢাকার প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী একটি স্কুল। প্রধানত ইংরেজ এবং অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের জন্য ১৮৯২ সালে খ্রিষ্টান মিশনারী ফাদার গ্রেগরী দ্যা গ্রেট স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৯৯ সালে তৎকালীন সরকার স্কুলটিকে স্বীকৃতি দান করেন। এটি এমপিও ভূক্ত স্কুল। এখানে প্রাইমারী, জুনিয়র এবং সেকেন্ডারী পর্যায়ে পাঠদান করা হয়। সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের বালিকা শাখা “সেন্ট জেভিয়ার্স গার্লস হাইস্কুল” এর নামকরণ করা হয় মহান সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার্সের নামানুসারে। সেন্ট গ্রেগরি স্কুলের একটি রূপ হচ্ছে 'নটর ডেম কলেজ'। ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন(csc) স্কুলটির বর্তমান প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন।
ঠিকানা এবং অবস্থান
সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল
৮২, মিউনিসিপ্যাল অফিস স্ট্রীট,
লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা ১১০০। ফোন: ৭১২১০২৬।
ইমেইল: [email protected]
ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে পূর্ব দিকে চলে যাওয়া সড়ক ধরে গিয়ে মহানগর মহিলা কলেজের বিপরীত পাশে এটি অবস্থিত।
শ্রেণীভেদে ভর্তির যোগ্যতা
স্কুলে প্রথম শ্রেনী থেকে নবম শ্রেনী পর্যন্ত ছাত্র ভর্তি করা হয়। নিম্নে বিভিন্ন শ্রেনীতে ভর্তির জন্য বয়সগত যোগ্যতার একটি ছক তুলে ধরা হলো:
ক্রমিক নং
|
শ্রেনী
|
বয়স
|
০১.
|
প্রথম শ্রেনী থেকে চতূর্থ শ্রেনী পর্যন্ত
|
৫ থেকে ৮ বছর।
|
০২.
|
৫ম শ্রেনী
|
৮ থেকে ৯ বছর।
|
০৩.
|
৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ৯ম শ্রেনী পর্যন্ত
|
১০ থেকে ১৫ বছর।
|
উল্লেখ্য যে, ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রদের অবশ্যই পূর্ববর্তী শ্রেনীর কৃতকার্যতার রেজাল্ট শীট জমা দিতে হবে। প্রত্যেক ছাত্রকে ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ন হতে হবে এবং পাশ করতে হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়া
-
নোটিশ বিজ্ঞপ্তি নোটিশ বোর্ডে দেওয়া হয়। স্কুলের অফিস কক্ষ থেকে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করতে হয়। ভর্তি ফরমের মূল্য ৩০০ টাকা।
-
ভর্তি ফরম যথাযথভাবে পূরন করে এর সাথে যেসকল কাগজপত্র জমা দিতে হয় সেগুলো হলো: পূর্ববর্তী ক্লাশের রেজাল্ট কার্ডের ফটোকপি, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ছবি, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, জন্মনিবন্ধন সনদ। ফরম জমা নেওয়ার সময় ভর্তি পরীক্ষার দিন তারিখ জানিয়ে দেয়া হয়।
-
সাধারনত পূর্ববর্তী ক্লাশের পাঠ্যবই থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রগুলো করা হয়ে থাকে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেনীর ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত এবং সাধারন জ্ঞান পরীক্ষা নেওয়া হয়। ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেনীর ভর্তি পরীক্ষায় অংক, বাংলা এবং ইংরেজী বিষয়ে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। শিশু শ্রেনীতে ভর্তির জন্য কোন ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় না।
-
৯ম-১০ম শ্রেনীতে সিট খালি থাকা সাপেক্ষে ভর্তি করা হয়।
-
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ১০-১৫ দিন পর অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হয়। মেধা অনুসারে উক্ত তালিকা থেকে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়।
-
ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ক্ষেত্রে ছাত্রী এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করা হয়।
-
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ৩০ দিন পর অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হয়।
-
মেধা অনুসারে উক্ত তালিকা থেকে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়।
-
ভর্তি ফি ৭০০০ টাকা (সকল শ্রেনীর জন্য প্রযোজ্য)।
মাসিক বেতন
ক্রমিক নং
|
শ্রেনী
|
মাসিক বেতন
|
০১.
|
প্রথম শ্রেনী থেকে চতূর্থ শ্রেনী পর্যন্ত
|
৫০০ টাকা।
|
০২.
|
পঞ্চম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত
|
৫৫০ টাকা।
|
-
এখানে বৃত্তিসুবিধা রয়েছে। সাধারনত গরীব ও মেধাবী ছাত্রদের এই সুবিধা দেয়া হয়।
লাইব্রেরী ও অন্যান্য
লাইব্রেরীটি স্কুল ভবনের ৪র্থ তলায় অবস্থিত। এখানে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, এ্যাডভেঞ্চার সম্পর্কিত বই রয়েছে। লাইব্রেরীতে বসে পড়ার ব্যবস্থা নেই। বই বাসায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। স্কুলের পরিচয়পত্রের মাধ্যমে বই বাসায় নেয়া যায়। এছাড়া একটি কম্পিউটার ল্যাব এবং প্রাকটিক্যাল ল্যাব রয়েছে।
ক্যান্টিন
স্কুল কম্পাউন্ডের ভেতরে একটি ছোট ক্যান্টিন রয়েছে। এখানে হালকা নাস্তা যেমন; সিঙ্গারা, সমুচা, ফাস্টফুড পাওয়া যায়। এটি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার এবং অন্যান্য সরকারী ছুটির দিনে এটি বন্ধ থাকে।
শ্রেনী, শ্রেনীকক্ষ এবং সময়
ক্লাসরুমগুলো সাজানো-গোছানো। এখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক বেঞ্চ রয়েছে। ব্ল্যাক বোর্ড, শিক্ষকের বসার চেয়ার-টেবিল রয়েছে। ক্লাশরুমগুলোতে বেশ কয়েকটি জানালা রয়েছে। তাই প্রাকৃতিক আলো-বাতাস পাওয়া যায়। এছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্যান এবং টিউবলাইট রয়েছে। শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্লাসগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এখানে দুটি শিফটে ক্লাসগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মর্নিং শিফট এবং ডে শিফট। মর্নিং শিফটের সময় সকাল ৭.১০ টা থেকে সকাল ১০.৩০ টা পর্যন্ত। ডে শিফটের সময় সকাল ১১.০০ টা থেকে বিকাল ৪.১৫ টা পর্যন্ত। প্রতিটি ক্লাসের ব্যাপ্তিকাল ৪৫ মিনিট। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি।
শিক্ষা সহযোগী কার্যক্রম
-
এখানে সেমিনার আয়োজন করা হয়।
-
ধর্মীয় শিক্ষার জন্য আলাদা শিক্ষক রয়েছেন। নামাজের জন্য শিক্ষার্থিদের সময় দেয়া হয়।
-
স্কুল প্রাঙ্গনে নিজস্ব খেলার মাঠ রযেছে।
-
বার্ষিক ম্যাগাজিন বের করা হয়।
-
আন্ত:স্কুল টূর্ণামেন্টে স্কুলটি অংশগ্রহন করে থাকে।
-
এখানে স্কাউটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
-
এখানে ইংরেজীর পাশাপাশি বাংলা মাধ্যমে পাঠদান করা হয়।
-
বার্ষিক শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা করে থাকে।
-
স্কুল প্রাঙ্গনে অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
-
স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ম্যানেজিং কমিটি রয়েছে।