ঢাকার বেইলী রোডে ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অবস্থান। ১ম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা এবং ইংরেজী ভার্সনে পড়নো হয় এখানে। এই বেসরকারী প্রতিষ্ঠানটিতে আগে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগও নেয়া হয়েছিল, তবে তা আর এগোয়নি।
স্কুলটির নামের উৎস জন্মসূত্রে অস্ট্রিয়ান মহিলা ভিকারুননিসা নুন। ১৯৪৫ সালে ফিরোজ খান নুনের সাথে বিবাহে আবদ্ধ হওয়ার সূত্রে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তার পূর্ববর্তী নাম ভিক্টেরিয়া পরিবর্তন করে ভিকারুননিসা নাম গ্রহণ করেছিলেন। নুন পরিবার সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্নভাবে তাদের অবদানের অংশ হিসেবে ১৯৫১ সালে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠাকাল
১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দ।
ঠিকানা ও অবস্থান
শান্তিনগর মোড় থেকে বেইলী রোড ধরে উত্তর দিকে ২০০ গজ এগোলে হাতের বামপাশে পাওয়া যায় এটি।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারী নির্দেশনা মেনে পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভর্তি করা হয়।
কাজেই বছর বছর ভর্তি পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসে।
উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি
উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক শাখায় ভর্তি করা হয়।
ভর্তির ক্ষেত্রে এস.এস.সি পরীক্ষার জিপিএ এবং ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করা হয়।
ভর্তি ফরম কেনা, জমা সবকিছু অনলাইনে করা হয়।
ভর্তি ফরমের মূল্য ৬০ টাকা।
ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতীয়, শিক্ষক, কর্মচারী এমনকি এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছাত্রীর বোন ইত্যাদি বিবেচনায় বিশেষ কোটা রয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাসসহ অন্যান্য তথ্য নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েব সাইটে দেয়া হয়।
ফলপ্রকাশের তিনদিন পর থেকে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তি করা হয়।
ভর্তির জন্য যা প্রয়োজন
ক) ভর্তির জন্য নিম্নলিখিত মূল কাগজপত্র প্রয়োজন হবে-
মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল গ্রেড শিট। মূল গ্রেড শিট শিক্ষাবর্ষ সমাপ্তির পরে ফেরত দেওয়া হয়।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্র (যে স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করেছে)।
সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ও এক কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি। ছবির পেছনে শুধুমাত্র ছাত্রীর নাম থাকতে হবে।
ভর্তির জন্য নির্বাচিত ছাত্রীদের কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ফিস ভর্তির ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ভর্তি ফরমের প্রতিটি কলাম যথাযথ পূরণ না করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে কর্তৃপক্ষ মেধাক্রমের ভিত্তিতে বৃত্তি দিয়ে থাকে।
একাদশ শ্রেনীতে সর্বশেষ ভর্তির ক্ষেত্রে যেভাবে টাকা নেয়া হয়েছিল
ক্রঃ নং
বিবরণ
মাসিক/ বাৎসরিক
টাকার পরিমান
০১
বেতন (মাসের নাম)
---
১২০০
০২
ভর্তি/পূর্নঃ ভর্তি/ বদলি
বাৎসরিক
১০০০
০৩
পরীক্ষা
বাৎসরিক
৫০০
০৪
উন্নয়ন ফিস
বাৎসরিক
৫০০০
০৫
সেশন চার্জ
বাৎসরিক
৩০০০
০৬
বেতন বই
বাৎসরিক
৫৩
০৭
রিপোর্ট কার্ড (২ বছরের জন্য)
বাৎসরিক
১০০
০৮
মিলাদ
বাৎসরিক
১০০
০৯
ভর্তি ফরম
বাৎসরিক
১০০
১০
লাইব্রেরী
বাৎসরিক
৫০
১১
মনোগ্রাম
বাৎসরিক
৭৫
১২
রোভার/স্কাউট/ গাইড
বাৎসরিক
৪০
১৩
রেজিস্ট্রেশন
বাৎসরিক
১০০
১৪
খেলাধুলা ও বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
বাৎসরিক
১০০
১৫
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বাৎসরিক
৭
১৬
বার্ষিকী (ম্যাগাজিন)
বাৎসরিক
১০০
১৭
বর্ষপঞ্জী ও সিলেবাস
বাৎসরিক
১০০
১৮
পরিচয়পত্র
বাৎসরিক
১০০
১৯
ভর্তি ব্যবস্থাপনা
বাৎসরিক
----
২০
শিক্ষক/ কর্মচারী হিতৈষী তহবিল
বাৎসরিক
১০০
২১
উৎসব উদযাপন ও সংস্কৃতিক কার্যক্রম
বাৎসরিক
২০০
২২
জেনারেটর/আইপিএস
বাৎসরিক
৫০০
২৩
রেড ক্রিসেন্ট
বাৎসরিক
১৫
২৪
বিবিধ
বাৎসরিক
১০০
মোট
---
=১২৪৪০
বিজ্ঞানাগার (প্রতি বিষয়ে)
বাৎসরিক
২০০ টাকা হারে
কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য
মাসিক
১০০ টাকা হারে
বিলম্ব ফি (যদি কেউ থাকে)
---
৫০
বিভাগ/ বিষয় পরিবর্তন ফি (যদি কেউ করে)
---
২৫
পাঠ বিরতি ফি
---
১০০
ভর্তির সময় প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত অন্যান্য ফিসের সঙ্গে এক মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে।
এরপর দুই মাসের বেতন পরিশোধ করতে হয়।
এরপরে তিন মাস অন্তর ৪ কিস্তিতে সম্পূর্ণ বছরের বেতন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সোনালী ব্যাংক, ভিকারননিসা নূন স্কুল ব্রাঞ্চে পরিশোধ করতে হয়।
যে কোন ১ টি কিস্তি অর্থাৎ ৩ মাসে পরিশোধ করতে না পারলে ছাত্রীর নাম রেজিষ্টার থেকে কেটে দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে পূনঃভর্তিফিসহ তাকে বকেয়া পরিশোধ করতে হয়।
ভর্তির সময় বেতনের সঙ্গে সম্পূর্ণ বছরের ব্যবহারিক ক্লাসের ফিস একবারে জমা দিতে হবে।
শুধু কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য মাসিক হারে ফিস প্রতি কিস্তি বেতনের সাথে দিতে হয়।
ভর্তি ফিস ( ইংরেজি মাধ্যম)
ভর্তি ফিস (বাংলা মাধ্যম)
ভর্তির সময়সূচী (বাংলা মাধ্যম)
২০১২ শিক্ষাবর্ষে ১ম শ্রেণী (বাংলা মাধ্যম) সকল প্রভাতী ও দিবা শাখার ভর্তির সময়সূচী ছিল:
ভর্তির সময়সূচী (ইংরেজি মাধ্যম)
২০১২ শিক্ষাবর্ষে ১ম শ্রেণী ইংরেজি মাধ্যম শাখায় ভর্তির সময়সূচী ছিল:
পাঠ্যক্রম
বিজ্ঞান
মানবিক
ব্যবসায় শিক্ষা শাখা
বাংলা
বাংলা
বাংলা
ইংরেজি
ইংরেজি
ইংরেজি
‘ক’ গুচ্ছ
‘ক’ গুচ্ছ (যে কোন ২ টি)
‘ক’ গুচ্ছ
পদার্থ বিজ্ঞান
অর্থনীতি
ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ
রসায় বিজ্ঞান
পৌরনীতি
হিসাব বিজ্ঞান
গণিত/ জীব বিজ্ঞান
ইতিহাস/ সমাজ বিজ্ঞান
----
‘খ’ গুচ্ছ
‘খ’ গুচ্ছ (যে কোন ২ টি)
‘খ’ গুচ্ছ
(১টি নৈর্বাচনিক ও ১ টি ঐচ্ছিক)
(১টি নৈর্বাচনিক ও ১ টি ঐচ্ছিক)
গণিত
ইতিহাস/ সমাজ বিজ্ঞান
অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক ভূগোল
জীব বিজ্ঞান
মনোবিজ্ঞান
পরিসংখ্যান
পরিসংখ্যান/ কম্পিউটার শিক্ষা
গার্হস্থ্য অন্থনীতি/ পরিসংখ্যান/ যুক্তিবিদ্যা/ ইসলাম শিক্ষা/ ভুগোল
ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক
ব্যবস্থাপনা কম্পিউটার শিক্ষা
মূল্যায়ন পদ্ধতি
একাদশ শ্রেণীর শিক্ষাবর্ষে অনুষ্ঠতব্য পরীক্ষা সমূহ-
-শ্রেণী পরীক্ষা- সেপ্টম্বর।
-ষান্মাসিক পরীক্ষা- অক্টোবর।
-শ্রেণী পরীক্ষা- ডিসেম্বর।
-বার্ষিক পরীক্ষা- মার্চ।
কলেজের ছাত্রীদের জন্য অবশ্য পালনীয় কিছু নিয়মাবলী
(কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘোষিত নিয়মাবলী প্রত্যেক ছাত্রীকে অত্যান্ত যত্নের সঙ্গে পালন করতে হয়।)
কলেজ শুরুর নির্ধারিত সময়ের পর কলেজ গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। কোন ছাত্রী এরপর আর কলেজে প্রবেশ করতে পারে না।
কোন ছাত্রী কলেজে প্রবেশের পর কোন কারণেই বাইরে যেতে পারে না। অনিবার্য কোন কারণে যেতে হলে অভিভাবকে আসতে হয়।
কোন ছাত্রী কলেজের সম্পত্তির করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।
পাঠ্যের জন্য প্রয়োজনীয় বই, খাতা ছাড়া অন্য কোন বই, সিডি বা পোশাক ব্যাগে আনা নিষিদ্ধ।
কোন ছাত্রী মোবাইল ফোন বা MP3, MP4 Pyayer ইত্যাদি সঙ্গে আনতে পারেনা।। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
কানে একজোড়া সোনার রিং ছাড়া অন্য কোন স্বর্ণালংকার পরা নিষেধ। কোন ছাত্রী নাকফুল পরে আসতে পারেনা।
কোন ছাত্রী চুলে হেয়ার ড্রাই ব্যবহার করতে পারে না। কলেজে ছাত্রীর একটি বেণী করে বা পনি টেইল বেঁধে আসতে হয়। সামনে ছোট চুল থাকলে তা কালো ক্লিপ দিয়ে পরিচ্ছন্নভাবে আটকে আসতে হয়।।
ইচ্ছাকৃতভাবে কোন ছাত্রী ক্লাস বর্জন করলে তাকে শাস্তি পেতে হয়।।
এই কলেজে বিবাহিত ছাত্রী ভর্তি করা হয় না। সেশন চলাকালীন কোন ছাত্রীর বিবাহ হলে তাকে বদলি সনদ প্রদান করা হয়।
শাখা
ভিকারুননিসা স্কুল এন্ড কলেজের বেইলী রোড শাখার পাশাপাশি একই প্রশাসনের অধীনে ধানমন্ডি, আজিমপুর ও বসুন্ধরা এলাকায় শাখা পরিচালিত হচ্ছে।
অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা
তিনটি ভবন মিলিয়ে মোট ৪০টি কক্ষ আছে। ক্লাসরুম সমূহে বেঞ্চের ব্যবস্থা আছে।
লোহার কাঠামোয় কাঠের পাটাতনে বেঞ্চগুলো তৈরী।
ক্লাসরুমে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবস্থাও আছে।
পরীক্ষা নেয়ার জন্য আলাদা কোন কক্ষ নেই। ক্লাসরুমেই পরীক্ষা নেয়া হয়।
কলেজের প্রশাসনিক ভবনের পাশের ভবনটি একাডেমিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
স্কুল ও কলেজের মাঝে বড় খেলার মাঠ আছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সুযোগ উপভোগ করে ছাত্রীরা।
এছাড়া ১০০০ আসনের একটি অডিটোরিয়াম রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটির।
ক্যান্টিন
খেলার মাঠের পূর্বপাশে একটি ক্যান্টিন আছে।
এখানে পরিবেশিত খাবারসমূহের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গারা, সমুচা, চিপস, চকলেট, আইসক্রিম এবং বার্গার।
ক্যান্টিনটি সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
এখানে পরিবেশিত খাবারের মূল্য তালিকা-
খাবারের নাম
মূল্য
সিঙ্গারা
৬ টাকা
সমুচা
১০ টাকা
চিপস
১২ টাকা
বার্গার
৩৫ টাকা
শিক্ষকের সংখ্যা
৬৫ জন স্থায়ী শিক্ষক আছেন আর অস্থায়ী শিক্ষক আছেন ১০ জন, সহকারী অধ্যাপক ৪৫ জন।
লাইব্রেরী
শিক্ষকদের বিশ্রাম কক্ষের পাশে লাইব্রেরীর অবস্থান। ১৫ হাজারের বেশী বই আছে এখানে।
লাইব্রেরীটি ব্যবহার করতে কার্ডের প্রয়োজন হয়।
মোট ৮টি ল্যাব আছে। রসায়নবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের জন্য আলাদা ল্যাব আছে।
পরিবহন
কোন পরিবহন বা আবাসিক সুবিধা নেই।
তবে ভিকারুননিসা স্কুল এন্ড কলেজকে কেন্দ্র করে ব্যাক্তি উদ্যোগে স্কুল ভ্যান ও মাইক্রোবাস সেবা দেয়ার চল আছে।
শিফট
দু’টি শিফট রয়েছে বেইলী রোড শাখায়। মর্নিং শিফট সকাল ৭.৩০ মিনিট থেকে ১২.৩০ মিনিট পর্যন্ত এবং ডে শিফট দুপুর ১২.৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৩.৩০ মিনিট পর্যন্ত। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।
অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময়
রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।(বিশেষ প্রয়োজনে পূর্বানুমতি সাপেক্ষে অন্য সময় সাক্ষাৎ করা যেতে পারে। শ্রেণী শিক্ষক ও বিষয় শিক্ষকদের সাথেও অধ্যক্ষের মাধ্যমে সাক্ষাৎ করতে হবে।)
সহশিক্ষা কার্যক্রম
শিক্ষাকে পূর্ণাঙ্গতা দিতে বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে এখানে। এর মধ্যে আছে বিজ্ঞান ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব এবং এনভায়রনমেন্ট ক্লাব।
৩০০ টাকা মূল্যের ফরম পূরন করে জমা দিতে হয় সদস্য হওয়ার জন্য।
গার্হস্থ্য শিক্ষা এবং কম্পিউটার শিক্ষার উপরও সহশিক্ষা কার্যক্রম আছে।
এছাড়া নিয়মিত শিক্ষা সফর এবং বিভিন্ন ধরনের সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হয়।
পোষাক
আকাশী নীল রঙ্গের কলারসহ কামিজ, আকাশী রঙ্গের বেল্ট, সাদা ভাঁজ করা ওড়না, সাদা সালোয়ার, সাদা মোজা ও নীল (বাটা) কেডস, শীতকালে সামনে খোলা নেভি ব্লু ঙের কার্ডিগান পড়তে হয়।
পোশাকের রং একই রাখার প্রয়োজনে কলেজ নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্র থেকে পোশাক সংগ্রহ করতে হয়।
বিজ্ঞান: ‘ক” গুচ্ছ থেকে গৃহীত গণিত ঐচ্ছিক বিষয় করা যাবে, যদি জীব বিজ্ঞান তৃতীয় বিষয় নেওয়া হয়।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে দুটি গুচ্ছ থেকে একই বিষয় নেয়া যাবে না।
অনুপস্থিতি
কোন কারণে অনুপস্থিতি থাকতে হলে ছাত্রীকে আগে থেকেই অনুমতি নিতে হয়।
আকস্মিক ক্ষেত্রে সঠিক কারণ দেখিয়ে ছুটি অনুমোদনের জন্য শ্রেণী শিক্ষকের মাধ্যমে অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করতে হয়।
অসুস্থতাজনিত কারণে তিন দিন কিংবা তার অধিক অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রত্যায়নপত্র সংযুক্ত করতে হয়।
৫ দিনের বেশী অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবককে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে হবে।
তবে সর্বাবস্থায় প্রতিটি ছাত্রীর শিক্ষাবর্ষে ৮৫% উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র ছাড়া ১ম বর্ষের কোন ছাত্রীর উপস্থিতি ৮৫% এর কম হলে তাকে দ্বিতীয় বর্ষে উন্নীত করা হয় না।
আর ২য় বর্ষের কোন ছাত্রীর উপস্থিতি এর কম হলে তাকে টেস্ট পরীক্ষার জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে না। অভিভাবকবৃন্দকে এই বিষয়টির প্রতি বিশেষভাবে সচেতন থাকার অনুরোধ করা হয়।